1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফ্রেডি মার্কারি - রক সংগীত জগতের এক মহারথী

১ সেপ্টেম্বর ২০১১

পশ্চিমের রক সংগীত জগতের এক অসাধারণ তারকা ছিলেন ফ্রেডি মার্কারি৷ ৭০ ও ৮০র দশকে ‘কুইন’ সংগীত গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে সারা বিশ্বে পেয়েছিলেন ব্যাপক সাফল্য ও জনপ্রিয়তা৷ আজো বহুমুখি প্রতিভার অধিকারী এই তারকার জনপ্রিয়তা অম্লান৷

https://p.dw.com/p/12RLj
ফ্রেডি মার্কারিছবি: AP

রক সংগীতের ইতিহাসে ফ্রেডি মার্কারি ছিলেন এক অসামান্য প্রতিভা৷ একাধারে চিত্রশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, বাদক ও গায়ক৷ নানা ধারার রক সংগীত, হেভি মেটাল, গসপেল, ডিস্কো এবং আরো বহু ধারায় সংগীত রচনা করেছেন তিনি৷

ফ্রেডি মার্কারির জন্ম ১৯৪৬ সালের পাঁচ সেপ্টেম্বর, পুর্ব আফ্রিকার জানজিবারে, ভারতীয় এক পার্সি পরিবারে৷ আসল নাম ফাররোখ বুলজারা৷ ৮ বছর বয়সে বাবার পেশার সূত্রে আসেন ভারতে, বম্বের কিছু দূরে পাঞ্চগানি শহরে৷ ইংরেজি বোর্ডিং স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন৷ তারপর পিয়নোতে তালিম নেন এবং স্কুলের কোরাস দলে যোগ দেন৷এ সময় তাঁর সহপাঠীরা তাকে আদর করে ডাকতেন ফ্রেডি৷ ১৭ বছর বয়সে পরিবারের সাথে  ফ্রেডি লন্ডনে পাড়ি জমান৷ এইলিং কলেজ অফ আর্টসএ চিত্রাঙ্কন ও গ্রাফিক্সস এ পাঠ নেয়ার সময় বেশ কিছু সংগীত শিল্পীর সাথে পরিচয় হয় তাঁর৷ পিয়ানোয় তাঁর দক্ষতা এবং অসাধারণ সুরেলা কন্ঠের জন্য খুব তাড়তাড়ি তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে৷ 

Rockband Queen 1977
১৯৭৭ সালে ‘কুইন’ ব্যান্ডছবি: picture alliance/dpa

বেশ কিছু ব্যান্ডের সাথে সংগীত পরিবেশনার পর ১৯৭০ সালে ফ্রেডি গঠন করেন চার সদস্যের গোষ্ঠি ‘কুইন'৷ এ সময় তাঁর বুলজারা নাম ছেড়ে  মার্কারি নাম গ্রহণ করেন৷ একের পর এক সাফল্য আসে কুইন সংগীত গোষ্ঠীর৷ সত্তর ও আশির দশকে বিশ্ব সংগীতাঙ্গনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিল কুইন৷এ সময় কুইন ছাড়াও একক সংগীত শিল্পী হিসেবে বহু খ্যতিমান সংগীত শিল্পীর সাথে কনসার্ট পরিবেশন করেন ফ্রেডি৷ যেমন স্পেনের বিখ্যাত অপেরা সংগীত তারকা মোনসেরাত কাবাইইয়ে৷      

তাঁর সুরেলা ও চড়া স্বরের কন্ঠ মুগ্ধ করেছ অসংখ্য সংগীতানুরাগীদের৷ আজো রক সংগীত জগতে ফ্রেডি মার্কারি তথা কুইন' এর গানের জনপ্রিয়তা অম্লান৷ ২৪ নভেম্বর ১৯৯১ সালে মাত্র পয়তাল্লিশ বছর বয়সে লন্ডনে, এইডস রোগে আক্রান্ত এই অসাধারণ রক সংগীত তারকা মৃত্যু বরণ করেন৷ মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত গান গেয়েছেন ফ্রেডি মার্কারি৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক