ফ্রান্সে পাঁচদিন ধরে দাঙ্গাকারীদের তাণ্ডব
৩ জুলাই ২০২৩সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সামাজিক প্রতিবাদ ও বিশৃঙ্খলা। গাড়ি ও বাস পোড়ানো হচ্ছে। প্রচুর দোকান ভাঙা হয়েছে। প্যারিস-সহ শহরগুলোয় শান্তি বজায় রাখতে ৪৫ হাজার পুলিশ কর্মীকে নামানো হয়েছে। প্যারিসের বাইরেই দক্ষিণপন্থি মেয়রের বাড়ি আক্রমণ করে দাঙ্গাকারী জনতা। গাড়ি ভাঙা হয়। বাড়িতে আগুন ধরানোর চেষ্টা হয়। মেয়র তখন বাড়ি ছিলেন না। কিন্তু স্ত্রী-সন্তানরা ছিলেন। মেয়রের স্ত্রীর পা ভেঙেছে।
এই অবস্থায় মৃত কিশোর নাহেলের নানি বা দিদিমা নাদিয়া বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ''অবিলম্বে এই সহিংসতা বন্ধ হোক।'' দাঙ্গাকারীদের তিনি বলেছেন, ''কোনো গাড়ি, বাড়ি, স্কুল তো আপনাদের কোনো ক্ষতি করেনি। মনে রাখবেন, ওই বাসে করেই মায়েরা স্কুলে যান।''
নাদিয়া বলেছেন, নাতির হত্যায় তিনি ও তার মেয়ে বিপর্যস্ত। কিন্তু বিচারবিভাগের উপর তার আস্থা আছে। তিনি ন্যায় পাবেন।
প্যারিসের ছবি
প্যারিসে শান্তিরক্ষার জন্য সাত হাজার পুলিশ নামানো হয়েছে। বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। কারণ, সামাজিক মাধ্যমে বিক্ষোভকরীরা তাদের প্রতিবাদকে শহরের মাঝখানে নিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছে।
শনিবার পর্যন্ত সংঘর্ষে দুইশর বেশি পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন। শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাতশর বেশি মানুষকে। তাদের বয়স ১৭ বছর বা তার কাছাকাছি।
রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত প্যারিসের উপর ড্রোন দিয়ে নজরদারি করেছে পুলিশ। দাঙ্গাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে রোববার সন্ধ্যাবেলা প্যারিস তুলনামূলতভাবে শান্ত ছিল।
মাক্রোঁর সিদ্ধান্ত
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ রোরবার মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। তিনি এবার মন্ত্রী, মেয়র ও পার্লামেন্টের দুই সভার প্রেসিডেন্টকে নিয়ে বঠক করতে পারেন।
মাক্রোঁর জার্মানি সফর করার কথা ছিল। কিন্তু ফ্রান্সের এই পরিস্থিতির কারণে তিনি সফর পিছিয়ে দিয়েছেন।
জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎসও জানিয়েছেন, তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, এপি, রয়টার্স)