ফ্রান্সে গির্জায় হত্যার নিন্দায় সারা বিশ্ব
৩০ অক্টোবর ২০২০নিন্দায় মুখর বিশ্ব। ফ্রান্সের গির্জায় আক্রমণ ও নৃশংসভাবে তিনজনকে হত্যা করা নিয়ে। জার্মানির চ্যান্সেলার আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেছেন, ''এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে আমি প্রবলভাবে ধাক্কা খেয়েছি। এই কঠিন সময়ে আমরা ফ্রান্সের পাশে আছি।'' ম্যার্কেলের এই প্রতিক্রিয়া টুইট করেছেন তাঁর মুখপাত্র।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ''আমরা ফ্রান্সের মানুষের সঙ্গে আছি। এই লড়াইয়ে অ্যামেরিকা তার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু দেশের পাশে আছে।'' ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন জানিয়েছেন, আমরা একত্রে এই বর্বরতা ও উন্মাদনার মোকাবিলা করব। ইটালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ''এই কাপুরুষোচিত আক্রমণ স্বাধীনতা ও শান্তির উপর আঘাত হেনেছে।''
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের টুইট, ''এই আক্রমণ বর্বরোচিত। সন্ত্রাস ও অসহিষ্ণুতার মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য ফ্রান্সের পাশে আছে।'' স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজ জানিয়েছেন, ''এই আক্রমণের বিরোধিতায় পুরো ইউরোপ এক।''
মুসলিম দেশের নিন্দা
তুরস্ক সহ মুসলিম দেশগুলিও এই ঘনার তীব্র নিন্দা করেছে। মহানবীর কার্টুন নিয়ে তুরস্ক ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্প্রতি বিরোধ সামনে এসেছে। তবে এই ঘটনার পর তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ''সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমরা। এই বিষয়ে ফ্রান্সের সঙ্গে আছি।'' তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের মুখপাত্র টুইট করে বলেছেন, ''আমরা একযোগে সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করব।''
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুরেশি বলেছেন, তাঁরা যে কোনো জায়গায় সহিংসতার নিন্দা করেন। সৌদি আরব বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ''কোনো ধর্মই সহিংসতা, চরমপন্থাকে সমর্থন করে না।'' ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাবাদ জারিফের টুইট, ''ঘৃণাপূর্ণ ভাষণ, উস্কানি, সহিংসতার এই চক্র যুক্তি দিয়ে ভাঙতে হবে।''
আক্রমণকারী এসেছিল তিউনিশিয়া থেকে। সেই তিউনিশিয়া বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা এই সন্ত্রাসবাদী কাজের তীব্র নিন্দা করছে এবং পুরোপুরি ফ্রান্সের পাশে আছে।
পোপের নিন্দা
পোপ ফ্রান্সিস জানিয়েছেন, তিনি গির্জায় নিহতদের জন্য প্রার্থনা করছেন। তাঁর মতে, সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংসতা কখনোই মানা যায় না। সকলকে এক হয়ে এই অশুভের বিরুদ্ধে শুভের লড়াই লড়তে হবে।
ভ্যাটিকানের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ''ভালোবাসার জায়গায় হত্যা হলো।''
জিএইচ/এসজি(এএফপি, এপি)