ফ্যাশনের হাওয়ায় পাল তুলেছে ভারতও
২০ মে ২০১১এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো ফ্যাশনে এগিয়ে চলছে ভারত৷ এই কথাটির সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়‘দ্য কাল্ট অফ দ্য লাক্সারি ব্র্যান্ড' নামের সমীক্ষায়৷ এশিয়ার দেশগুলোর বিত্তবানদের নিয়ে যারা এই সমীক্ষাটি চালিয়েছেন তাঁদের অন্যতম রাধা চন্দ্রা৷ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ধনসম্পদ এবং কেনাকাটার ব্যাপারে ভারতীয়দের মধ্যে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন এসেছে৷ পশ্চিমা ফ্যাশনধারায় প্রভাবিত হচ্ছে এখানকার বিত্তবান মানুষরা৷ চন্দ্রা বলেন, ‘‘মুম্বই কিংবা রাজধানী নয়া দিল্লির সামাজিক কোনো অনুষ্ঠানে কোনো নারীর হাতে যদি ডিজাইনারদের তৈরি হাতব্যাগ না দেখা যায় তাহলে তাঁকে সাহসীই বলতে হবে৷'' মানে ডিজাইনারদের তৈরি এবং ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র ব্যবহার করা ধনীদের জন্য এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হচ্ছে৷
অতীতে ফ্যাশনাবল জিনিসপত্রের খৌঁজে ফ্যাশন সচেতনদের ছুটতে হতো ফাইভ স্টার হোটেলগুলোর বুটিক হাউজে৷ কিন্তু এখন ভারতের যেকোনো শপিং মলেই এই ধরণের বুটিকের দেখা পাওয়া যায়৷ কেবল পোশাক-আশাকে নয়, আসবাবপত্র, গাড়ি সবকিছুতেই এখন ফ্যাশনের ছোঁয়া৷
নতুন দিল্লির আসবাবপত্র ডিজাইনার রাসেল গুজরাল বলেন, মানুষ এখন টাকা খরচ করতে আগের মতো সংযত নন৷ যদিও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অতিরিক্ত খরচ কমাতে এবং শুধুমাত্র দর্শনীয়, এমন পণ্য কেনা থেকে বিরত থাকতে৷
তবে ভারতের বিলিয়নার আজিম প্রেমজি বলেছেন, চীন, ইন্দোনেশিয়া এবং থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রে একইরকম ব্যাপার ঘটছে৷ সেখানেও মানুষজন তাদের সম্পদ ভোগ করছেন৷ তিনি বলেন, আসলে আর্থিক সম্পদের প্রাচুর্য হলে প্রথম কয়েক বছর মানুষ দেখাতে চায় যে তারা অনেক বিত্তবান৷
ভারতে গাড়ি আমদানীকারক কোম্পানি শ্রেয়ানস গ্রুপের প্রধান আশিস করডিয়া৷ তিনি বললেন, ‘‘কিছু মানুষের কাছে টাকা-পয়সা সবসময়ই ছিল৷ কিন্তু এখন আর তারা অর্থের বিনিময়ে কিছু ভোগ করতে শঙ্কিত হননা৷''
আশিসের কথার প্রমাণ মেলে দেশটির সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি'র উদাহরণ দেখলে৷ তিনি মুম্বই যে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন, তার ছাদে ৩টি হ্যালিপ্যাডের ব্যবস্থা রয়েছে৷ এরআগে তিনি তার স্ত্রীর জন্মদিনে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন ৬০ মিলিয়ন ইউরোর আস্ত একখানা এয়ারবাস বিমান৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক