হ্যাশট্যাগে ফায়দা নেই
২৮ জুলাই ২০১৩ফেসবুকে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার নিয়ে গবেষণাও শুরু হয়ে গেছে৷ ‘‘সিম্পলি ম্যাজরড'' নামক একটি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানের বরাতে অলফেসবুক ডটকম জানিয়েছে, বিশ্বের সেরা ১০০টি ব্র্যান্ড তাদের ফেসবুক পাতায় প্রকাশিত ২০ শতাংশ পোস্টে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছে৷ এই খবর নিঃসন্দেহে আনন্দের৷ কিন্তু হতাশার কথা হচ্ছে, হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আলাদা কোনো সুবিধা এখনো পাচ্ছে না এসব ব্র্যান্ড৷
সিম্পলি ম্যাজরড-এর বিচারে হ্যাশট্যাগযুক্ত এবং হ্যাশট্যাগ ছাড়া পোস্টের মধ্যে বিশেষ কোনো উল্লেখযোগ্য পার্থক্য এখনো ধরা পড়েনি৷ এর কারণ হতে পারে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে এখনো সম্ভবত হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে কিছু খোঁজার প্রবণতা তৈরি হয়নি৷
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠানটির স্বল্প সময়ের গবেষণায় আরো কিছু বিষয় জানা গেছে৷ যেমন, বড় ফেসবুক স্ট্যাটাসের চেয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট স্ট্যাটাসে আলোচনা বেশি হয়৷ তবে সেই ছোট স্ট্যাটস পঞ্চাশ অক্ষর বা তারও কম হলে লাভ নেই৷
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, যেসব ব্র্যান্ডে তাদের ফেসবুক পাতার ওয়ালে ব্যবহারকারীদের লিখতে দেয় না, তাদের তুলনায় যারা লিখতে দেয় তাদের পাতায় ১৫ শতাংশ বেশি আলোচনা লক্ষ্য করা যায়৷ এই আলোচনা বলতে সামগ্রিকভাবে একটি পোস্টের উপর ব্যবহারকারীদের মন্তব্য, লাইক এবং শেয়ার বোঝানো হচ্ছে৷
সিম্পলি ম্যাজরড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যাডাম স্যোয়েনফেল্ড এই গবেষণা সম্পর্কে বলেন, ‘‘অধিকাংশ ব্র্যান্ড আর ফেসবুককে শুধু একটি নেটওয়ার্ক মনে করছে না৷ বরং এটা তাদের সোশ্যাল মার্কেটিংয়ের একমাত্র ‘হাব' এবং ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আলোচনার সবচেয়ে মোক্ষম জায়গা৷''
উল্লেখ্য, ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘‘অন্বেষণ''-এরও হ্যাশট্যাগ চালু করা হয়েছে৷ ফেসবুকে বাংলা ভাষায় অন্বেষণ সম্পর্কে মন্তব্য জানাতে ব্যবহার করুন #অন্বেষণ, আর ইংরেজিতে #Onneshon৷ টুইটারের ক্ষেত্রেও ইংরেজি হ্যাশট্যাগটি কার্যকর৷