ফেসবুক মানুষকে আরও সামাজিক করে তুলছে
২৫ নভেম্বর ২০১০মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে হঠাৎ করেই অসম্ভব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসবুক৷ বর্তমানে সারা বিশ্বের পঞ্চাশ কোটিরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে সামাজিক এই নেটওয়ার্ক৷ তবে তার পাশাপাশি বলা হচ্ছে এর নেতিবাচক প্রভাবের কথাও৷ অবশ্য টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা৷ গবেষক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিও, টিভি এবং ফিল্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস. ক্রেইগ ওয়াটকিনস৷ তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আমাদের গবেষণা বলছে, বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং সহকর্মীদের মধ্যে মুখোমুখি যে তথ্যবিনিময় হয়, ফেসবুক সেই স্থান দখল করতে পারেনা৷ তবে সামাজিক মাধ্যম হিসেবে নতুন উপায়ে ফেসবুক বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছে এবং সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে৷''
গবেষণার জন্য বেছে নেয়া হয় নয়শ' কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং সদ্য পাশ করা স্নাতকদের৷ তাদের প্রশ্ন করা হয়, তারা কেমনভাবে এবং কাদের সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করেন৷ ষাট শতাংশের বেশি উত্তরদাতা বলেছেন, স্ট্যাটাস আপডেট করতেই তাঁরা বেশি পছন্দ করেন৷ তারপর ফেসবুক ব্যবহারকারীদের পছন্দের কাজ হচ্ছে প্রোফাইলে কমেন্ট লেখা৷ তাঁদের ঊনপঞ্চাশ শতাংশ পছন্দ করেন বন্ধুদের মেসেজ পাঠাতে এবং কমেন্ট লিখতে৷ আরেকটি বিষয় গবেষকদের নজর কাড়ে৷ সেটি হচ্ছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নারী ও পুরুষের সংখ্যা প্রায় সমান হলেও তাঁরা কিন্তু তা ব্যবহার করছে ভিন্নভাবে৷
ওয়াটকিনস বলছেন, মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, যোগাযোগ রক্ষার বিষয়টিকেই তাঁরা বেশি আগ্রহী৷ আর পুরুষরা তাঁদের কাজের স্বার্থেই বেশি ব্যবহার করছে ফেসবুক৷ উদাহরণ হিসেবে ওয়াটকিনস বলছেন, মেয়েরা সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বন্ধুদের সঙ্গে তোলা ছবিগুলো পোস্ট করতে বেশি পছন্দ করেন৷ অন্যদিকে পুরুষরা পছন্দ করছেন রাজনীতি বা পপ কালচার সংশ্লিষ্ট কোনো লিংক দিতে৷ ওয়াটকিনস বলেন, ফেসবুক বিভিন্ন ধরণের মানুষকে এবং তাঁদের ধ্যান-ধারণাকে এক কাতারে নিয়ে আসে৷ আর আমরা এর মাধ্যমে বন্ধু, সহকর্মী বা পরিবারের কাছে নিজেদেরকে উপস্থাপন করি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক