মার্ক সাকারবার্গের বদান্যতা
২ ডিসেম্বর ২০১৫সাত পাউন্ড, আট আউন্স ওজন নিয়ে ‘ম্যাক্স' জন্মগ্রহণ করে গত সপ্তাহে৷ সাকারবার্গ কিন্তু খবরটা দিলেন এ সপ্তাহে, অবশ্যই ফেসবুকের মাধ্যমে৷ সেই ফেসবুকেই ম্যাক্সের বাবা-মা কন্যাকে লেখা একটি খোলাচিঠিতে জানিয়েছেন যে, তাঁরা তাঁদের ফেসবুক স্টকহোল্ডিংস-এর শতকরা ৯৯ ভাগ ব্যয় করবেন রোগ দূরীকরণ, শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি ও ‘‘সাবলীল সমাজ সৃষ্টির'' কাজে৷
চ্যান সাকারবার্গ ইনিশিয়েটিভ নাম দিয়ে একটি নতুন সংগঠন গঠন করা হচ্ছে, যা দাতব্য অর্থ, বেসরকারি বিনিয়োগ ও সরকারি নীতির সংস্কারের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করার চেষ্টা করবে৷ ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা ৩১ বছর বয়সি মার্ক সাকারবার্গ ও তাঁর স্ত্রী, ৩০ বছর বয়সি শিশুরোগচিকিৎসক প্রিসিলা চ্যান সদ্যজাত কন্যাসন্তানকে লিখেছেন, ‘‘সব বাবা-মায়ের মতো, আমরা চাই যে, তুমি আমাদের এই জগতের চেয়ে আরো ভালো একটা জগতে বড় হবে৷'' ম্যাক্স-এর আগে চ্যান-এর তিনটি বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে৷
এত কম বয়সে সাকারবার্গের এমন বদান্যতা যে একটা নতুন নজির রাখছে, সেটা টুইটারে অনেকেই খেয়াল করেছেন, যেমন সারা ফ্রিয়ার৷ তাঁর কাছে, সাকারবার্গ যে বিল গেটস কিংবা ওয়ারেন বাফেট-এর চেয়ে বয়সে অনেক কম, সেটা লোকহিতৈষণের ক্ষেত্রে একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে৷
অন্যরা আবার এই বদান্যতাকে ভালো চোখে দেখছেন না৷ তাঁদের কাছে বদান্যতার চাইতে সরকারের প্রাপ্য কর দিলেই তো হয়৷
লুইস প্রক্টার চান, দাতব্য করা ভালো, কিন্তু সেই সঙ্গে ট্যাক্স দিলেও কি ভালো হয় না?
সাকারবার্গের ‘নতুন উদ্যোগ' যে একটি এলএলসি বা লিমিটেড লায়াবিলিটি কোম্পানি হবে, তাতেও অনেকের আপত্তি৷ কেননা তা থেকে সাকারবার্গ নাকি কর ছাড়া পর্যন্ত পেতে পারেন৷
ফেসবুকের মুখপাত্রী রেচেল হরভিৎস একটি ই-মেলে বলেছেন, ‘‘ওরা (অর্থাৎ মার্ক ও চ্যান) আরো বেশি ফ্লেক্সিবিলিটি চায় এবং ওরা ওদের লক্ষ্যসাধনের জন্য নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করবে৷ সেই অর্থে এটা একটা নিধি নয় এবং পুরোপুরি দাতব্যও নয়৷''
এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)