1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশের কিশোরী ফেলানী হত্যায় কনস্টেবল অমিয় ঘোষ বেকসুর খালাস পাওয়ায় বাংলাদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সুবিচার পাওয়া যায়নি৷

https://p.dw.com/p/19dVP
ছবি: AP

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান ডয়চে ভেলের কাছে এই বিচারকে ‘তামাশা' বলে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি বলেন, ফেলানী হত্যা মামলার রায়ে কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বেকসুর খালাস কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না৷ এটি অনাকাঙ্খিত এবং অনভিপ্রেত৷ এখানে বিচারের নামে ‘তামাশা' করা হয়েছে৷ এতে শুধু ফেলানীর আত্মার সঙ্গে নয়, তার পরিবারের সঙ্গে এবং পুরো জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে৷ ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এই রায় নতুন ক্ষতের সৃষ্টি করেছে৷

তিনি বলেন এই বিচার হয়েছে ভারতের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায়৷ বাংলাদেশের আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ তাই ভারতকেই আপিলের ব্যবস্থা করতে হবে৷ তিনি দাবি করেন আপিলের কাজে যেন ভারতীয় মানবাধিকার কমিশনকে সম্পৃক্ত করা হয়৷ বাংলাদেশের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের সহায়তা করবে৷

Barrister Shafiq Ahmed is the Law minister of Bangladesh Government
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ রায় প্রত্যাখ্যান করেছেনছবি: Samir Kumar Dey

আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এই রায়ে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন ঘটেনি৷ এর বিরুদ্ধে আপিল হওয়া দরকার৷ তবে এ বিষয় নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ফেলানী হত্যার ঘটনা দুই দেশের জন্যই দুঃখজনক, লজ্জাজনক৷ তিনি বলেন ফেলানী হত্যার ব্যাপারে বাংলাদেশ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার চেয়েছিল৷ আইন অনুযায়ী বিএসএফ এর আদালতে তার বিচার কাজও হয়েছে৷ কিন্তু তাতে ফেলানীর ব্যাপারে বাংলাদেশ যে সুবিচার আশা করেছিল তা পাওয়া যায়নি৷ তিনি বলেন ফেলানী হত্যার রায়সহ মামলা সংক্রান্ত প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেলেও বিস্তারিত বিবরণ এখনো পাওয়া যায়নি৷ পাওয়া গেলে সরকার তার অবস্থান জানাবে৷

এদিকে ফেলানী হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় পাওয়া পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশে ভারতের হাই কমিশন৷ ভারতীয় হাই কমিশনের মুখপাত্র ঢাকায় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এটি ফেলানী হত্যার বিচারের ‘প্রথম ধাপ'৷ রায়ের বিষয়টি এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে৷ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করা উচিত৷

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভোরে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতের কুচবিহার জেলার চৌধুরী হাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ১৪ বছর বয়সের ফেলানীকে এক বিএসএফ সদস্য গুলি করে হত্যা করে৷ তার লাশ দীর্ঘক্ষণ কাঁটাতারের বেড়ার ওপর ঝুলে ছিল৷ সেই ছবি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে শুধু এই অঞ্চলেই নয়, সারা বিশ্বে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ এরপর শুক্রবার ভারতের কুচবিহারে বিএসএফ এর বিশেষ আদালত হত্যা মামলার একমাত্র আসামি কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য