1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফের অভিষেককে শমন ইডি-র

৩০ আগস্ট ২০২২

কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় আবার অভিষেককে শমন পাঠিয়েছে ইডি। শমন পাঠানো হয়েছে তার শ্যালিকাকেও।

https://p.dw.com/p/4GCew
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: Satyajit Shaw/DW

সোমবার তিনি নিজেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, মঙ্গলবার সকালে কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় ইডির শমন পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে, অর্থাৎ, শুক্রবারের মধ্যে তাকে কলকাতায় সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। শমন পাঠানো হয়েছে অভিষেকের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকেও। বস্তুত, শমন পেয়েই কলকাতা হাইকোর্টে ইডি-র বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করেছেন মেনকা। এদিন দুপুরেই তার শুনানি হওয়ার কথা বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চে।

কয়লা পাচার কাণ্ডে এর আগেও অভিষেককে শমন পাঠিয়েছে ইডি। তবে এবার দিল্লির অফিসাররা কলকাতায় গিয়ে অভিষেককে জেরা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইডি-র একটি সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, অভিষেক এবং তার পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ইডি-র হাতে আছে। সে বিষয়ে অভিষেক প্রশ্ন করা হতে পারে।

তৃণমূল অবশ্য গোড়া থেকেই ইডি এবং সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরব। তাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করছে। সোমবার ছাত্র পরিষদের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক দুইজনেই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। মমতা বলেছিলেন, ''অভিষেক আজ খুব ভালো বলেছে। এবার হয়তো আজ অথবা কাল কোনো সংস্থা ওকে নোটিস ধরাবে।'' মমতার বক্তব্য, ''এর আগেও ওকে দুইবার নোটিস দেওয়া হয়েছে। ওর বউকেও নোটিস দিয়েছে। এবার হয়তো ওর দুই বছরের শিশুকেও নোটিস দেওয়া হবে।''

অভিষেকও তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ''মঙ্গলবার কিছু ঘটবে।'' তাহলে কি অভিষেক আগেই জানতে পেরেছিলেন যে মঙ্গলবার তাকে ইডি নোটিস পাঠাবে? তৃণমূলের এক নেতা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, তৃণমূল কোনো সভা করলেই ইডি বা সিবিআই তার পরদিন তৃণমূলের নেতাদের হেনস্থা করে। ২১ জুলাইয়ের সভার পরদিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান হয়েছিল এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার অভিষেক কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করার পরেই মঙ্গলবার তাকে নোটিস পাঠানো হলো।

বিজেপি নেতা সৌরভ সিকদারের বক্তব্য, ''ইডি এবং সিবিআইয়ের কাছে মামলার ফাইল আছে, সে কারণেই তারা নির্দিষ্ট কিছু নেতাকে ডাকছে। যদি রাজনৈতিক কারণেই একাজ করা হতো, তাহলে তো সমস্ত বিরোধী নেতাকেই ডাকতে পারতো কেন্দ্রীয় তদন্ত কমিটি।'' সৌরভের বক্তব্য, অন্যায় করলে তার তদন্ত হবেই। তিনি যত বড় নেতাই হোন না কেন!

এদিকে বুধবার ফের আদালতে শুনানি হওয়ার কথা পার্থ-অর্পিতা মামলার। তারা দুইজনেই এখন জেলে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলের সাবেক মহাসচিব এবং রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে দল এবং প্রশাসনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)