ফুকুশিমার তেজষ্ক্রিয়তা সরাসরি মিশে যাচ্ছে সমুদ্রে
২৬ মার্চ ২০১১ফুকুশিমার আশপাশে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছিল, সে কোন নতুন খবর নয়৷ নতুন খবর হল শনিবার, যখন দেখা গেল সমুদ্রের জলে সরাসরি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজষ্ক্রিয়তা মিশে যাচ্ছে৷ এবং তার মাত্রা ভয়াবহ রকমের বেশি৷
গত কয়েকদিন ধরেই ফুকুশিমার আশেপাশে বেশ কিছু জায়গা থেকে সমুদ্রের জলের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল৷ দেখা গেছে, ফুকুশিমার ৩৩০ মিটার দূরে উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রের জলের যে নমুনা পাওয়া গেছে, তাতে স্বাভাবিকের তুলনায় তেজষ্ক্রিয়তার পরিমাণ ১২০০ গুণ বেশি৷ বলা বাহুল্য, নতুন এই পরিস্থিতিতে তেজষ্ক্রিয়তা ছড়ানোর আশংকা অনেকটাই বেড়ে গেছে৷ কারণ, সমুদ্রে মিশে যাওয়া এই তেজষ্ক্রিয়তা প্রাকৃতিক মহামারী ডেকে আনতে পারে যেকোন মুহূর্তে৷
কেন এত বেশি মাত্রায় তেজষ্ক্রিয়তা ছড়াচ্ছে সমুদ্রে? এ প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার সংস্থার এক বিজ্ঞানী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বৃষ্টি বা অন্যান্য কারণে যে পরিমাণ তেজষ্ক্রিয়তা সমুদ্রে মিশছে, তার থেকে এত বেশি মাত্রায় তা বেড়ে যাওয়াটা অসম্ভব৷ সেক্ষেত্রে একটাই আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আর তা হল, ফুকুশিমার তেজষ্ক্রিয়তা কোন এক লিকেজের মাধ্যমেই সরাসরি সমুদ্রে চলে যাচ্ছে৷ অদূর ভবিষ্যতে যা কিনা বড় মাপের ক্ষতি ডেকে আনতে সক্ষম, যদি এখনই সেই লিকেজকে খুঁজে বের করে তা মেরামত না করা যায়৷
তবে, অন্য মতও আছে৷ জাপানের পারমাণবিক সুরক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তার মতে, সমুদ্রের জলে তেজষ্ক্রিয়তার যে অতিরিক্ত মাত্রা ধরা পড়েছে, তা পান করলে মানবদেহে ক্যান্সার হতেই পারে৷ কিন্তু, অন্যদিকে সমুদ্রের জলে বা সমুদ্রের অভ্যন্তরে তা তেমন কোন বড়মাপের ক্ষতি করতে পারবে না বলেই অভিমত এই বিশেষজ্ঞের৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস