ফিলিস্তিনি তরুণী হলেন ইসরায়েলের ‘‘মিস ফিটনেস’’
গভীর শৃঙ্খলাবোধ আর দৃঢ়তা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জেরুসালেমের আনুশ বেলিয়ান৷ ইসরায়েলের ন্যাশনাল অ্যামেচার বডিবিল্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে ‘‘মিস ফিটনেস’’ খেতাব দিয়েছে৷
খেতাব আমার হাতে!
আনুশ বেলিয়ানের স্বপ্ন যে সফল হলো, তার পিছনে রয়েছে বহু বছরের অনুশীলন৷ তেল আভিভে ‘নাবা’-র ‘মিস ফিটনেস’ খেতাব পেলেন আনুশ বেলিয়ান৷
ট্রেনারও খুশি
আনুশ-ই প্রথম ফিলিস্তিনি মহিলা, যিনি ইসরায়েলে একটি অপেশাদারি বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেন – আবার জিতলেনও৷ কাজেই ট্রেনার বেসিল সাইদ-এর খুশির সীমা নেই৷
অতীতের বক্ষে আধুনিক শরীরচর্চা
প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিপর্বে আনুশ বেলিয়ান জেরুসালেমের প্রাচীন অংশে অবস্থিত একটি জিম-এ দিনে বেশ কয়েক ঘণ্টার ট্রেনিং করেছেন৷ সঙ্গে থাকতেন ট্রেনার সাইদ৷
নিজেদের এলাকায়
আনুশ তাঁর মা রেনে ও পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে জেরুসালেমের প্রাচীন অংশে অবস্থিত আর্মেনীয় এলাকায় বাস করেন৷ ইসরায়েলে প্রায় আট থেকে দশ হাজার আর্মেনীয়-র বাস, যাঁদের অধিকাংশই খ্রিষ্টান৷
রান্নাবাটি
আনুশ বেলিয়ান জানেন, খাওয়াটাও খেলাধুলা বা শরীরচর্চার একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ৷ কাজেই তিনি অধিকাংশ সময় নিজেই রেঁধে থাকেন৷
সিঁড়িভাঙাও এক ধরনের এক্সারসাইজ!
সিঁড়ি ভেঙে ওঠো, সিঁড়ি ধরে নামো৷ ফিটনেস স্টুডিও-য় যাবার পথেই আনুশ বেলিয়ানের ট্রেনিং শুরু হয়ে যায়৷ শহরের প্রাচীন অংশে যাদের বাস, একমাত্র তারাই এই সব গলিঘুঁজি চেনেন৷
মঞ্চে ওঠার আগের মুহূর্তে
শরীরচর্চা এক কথা, আর সেই সুগঠিত শরীর জনসমক্ষে প্রদর্শন করা আরেক কথা৷ সেজন্য বিশেষ ধরনের পোশাক পরতে হয়৷ আনুশ বেলিয়ান বডিবিল্ডিং-এ আসার আগে বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করেছেন৷
জিতলেন আনুশ বেলিয়ান!
দীর্ঘ অনুশীলন এবং সুদীর্ঘ প্রস্তুতির ফল পেলেন আনুশ বেলিয়ান – ‘‘মিস ফিটনেস’’ প্রতিযোগিতায় জিতে৷ ইসরায়েলের সর্বাধুনিক মিস ফিটনেস হলেন এক ফিলিস্তিনি তরুণী যার বাস জেরুসালেমে৷