ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল: যে সম্পর্ক বিভাজনের
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের নাবলুস ঘুরেছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিক জুলফিকার এবানি৷ তুলে এনেছেন সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা আর পাশাপাশি থেকে ইসরায়েলিদের সাথে তাদের যোজন যোজন দুরত্বের চিত্র৷
ডাক টিকিট কিংবা ক্রেডিট কার্ড
পশ্চিম তীরে নাবলুসের একটি সড়ক৷ পাশেই ইসরায়েল কিন্তু ফিলিস্তিনের কোনো ডাক টিকিট চলে না সেখানে৷ আবার বিপরীতে ইসরায়েলের কোনো ক্রেডিট কার্ড আপনি ফিলিস্তিনে ব্যবহার করতে পারবেন না৷ ওয়ার্ল্ড অফ হোটেলে অবস্থানকালে ডয়চে ভেলের জুলফিকার এবানিকে সেখানকার ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির পাঠানো বার্তায় লেখা হয়েছে, ‘‘অবস্থান প্যালেস্টাইন অঞ্চলে৷ লেনদেন সম্ভব নয়৷ আপনি কার্ডটি এই দেশে ব্যবহার করতে পারবেন না৷’’
বিভাজনের দেয়াল
জুলফিকার এবানি ফিলিস্তিনে অবস্থান করেছেন ‘ওয়ার্ল্ড অফ হোটেলে’৷ তাঁর ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে ‘নিকৃষ্ট দৃশ্য’ অবলোকন করা যায় হোটেলটি থেকে৷ ফিলিস্তিন থেকে যে দেয়াল পৃথক করেছে ইসরায়েলকে সেটি দেখতে পাবেন এই হোটেলের জানালা দিয়ে৷
চাকুরি না বিদ্যা?
আন-নাজাহ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ফিলিস্তিনের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয়৷ ছবিতে ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি নিউজলেটার দেখা যাচ্ছে৷ যার শিরোনাম ছিল ‘দখলদারিত্বের ১৯ বছর’৷ ফিলিস্তিনের ৪০ ভাগ স্নাতোকোত্তরই বেকার৷ যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি চাকুরি সংকট আছে এমন কিছু বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা বন্ধ করে দিচ্ছে৷ জোর দেয়া হচ্ছে গণিত আর প্রকৌশলে৷
যে বিশ্ববিদ্যালয় বিচ্ছিন্ন বিশ্ব থেকে
আন-নাজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নাহের নাতসেহ৷ ফিলিস্তিনের অন্য বিজ্ঞানীদের মতো তিনিও একটা সময় পর্যন্ত বিদেশে থেকে ফিরে এসেছেন দেশে৷ তাঁর জন্ম জেরুজালেমে৷ কাজ করেছেন মিশরের কায়রো, যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার, যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়াতে৷ নাহের নাতসেহ জানান বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে তারা আমন্ত্রণ জানাতে পারেন না৷ এমন কি নিরাপত্তার কারণে ইসরায়েলিদের আনা সম্ভব না৷
তবুও বড় স্বপ্ন
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আরবের শীর্ষ দুই ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছে আন-নাজাহর পরিচালকরা৷ যদিও সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কয়েকগুণ কম বাজেট নিয়েই চলছেন তারা৷ তবে আন-নাজাহর কমপ্লেক্স কিন্তু বেশ আধুনিক আর দৃষ্টিনন্দন৷ যেমনটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে৷
ফিলিস্তিনের কাঁচা বাজার
এটি ফিলিস্তিনের একটি কাঁচা বাজার৷ কিন্তু এখানকার ব্যবসায়ী আর বাসিন্দারা প্রায়ই ইসরায়েলি সৈন্যদের তল্লাশীর মধ্যে পড়েন বলে জানান ব্যবসায়ীরা৷
কানাফে বা কুনাফার স্বাদ
ফিলিস্তিনের একটি রেস্টুরেন্টের ছবি৷ সেখানে বেশ জনপ্রিয় কানাফে৷ যা কুনাফা নামেও পরিচিত৷ এটি মূলত এক ধরনের মিষ্টান্ন যা শুধু ফিলিস্তিন নয় গোটা মধ্যপ্রাচ্যেই সমান জনপ্রিয়৷
অদৃশ্য সীমান্ত
ফিলিস্তিনের ব্যস্ত কোন বাজার বা পথ ধরে হাটতে গিয়ে ঢুকে পড়তে পারেন ইসরাইলে৷ যেমন এই মার্কেটটি৷ এর এক পাশে ফিলিস্তিন অন্য পাশে ইসরায়েল৷ তবে ইসরায়েল অংশে ট্যাংক কিংবা ভারি যানবাহন নিয়ে সবসময় প্রহরায় থাকে সেনারা৷