১০ হাজার নিহতের আশঙ্কা!
১০ নভেম্বর ২০১৩হাইয়ানের আগমনী বার্তা পাওয়ার পর থেকেই সরকার তা মোকাবিলা করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল৷ নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছিল প্রায় সোয়া লক্ষ মানুষকে৷ কিন্তু তারপরও এর ভয়াল আঘাত থেকে হাজারো মানুষকে রক্ষা করা গেল না৷
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৭৯ কিলোমিটার বেগের বাতাস প্রবাহিত করা হাইয়ান বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের একটি, বলে জানিয়েছেন জেফ মাস্টার্স৷ তিনি মার্কিন ‘ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ড' সংস্থার একজন পরিচালক৷ তবে মাস্টার্স বলছেন, ভূমিতে আঘাত হানার ক্ষেত্রে হাইয়ান-ই সবচেয়ে শক্তিশালী৷
রাজধানী ম্যানিলা থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দূরের সামার দ্বীপের উপকূলে আঘাত হানার পর হাইয়ান ক্রমেই সমতলে ঢুকে পড়ে৷ ফলে তার আঘাতে হালকা উপকরণ দিয়ে তৈরি ঘরবাড়ি নিমিষেই মাটিতে শুয়ে পড়ে৷ আর একটু শক্তি ভবনগুলোর ছাদ গেছে উড়ে৷
১৯ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জেসা আলজিবে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন তার বাড়ির চারপাশে থাকা সব কলাগাছ নুয়ে পড়েছে৷
সংখ্যা আরও বাড়বে
ইতিমধ্যেই অন্তত ৩০০ মৃতদেহ উদ্ধার করে হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি৷ দুর্গত এলাকায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না এখনও৷ সেখানকার আসল পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না সেসব এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ চলে যাওয়ায়৷ তাই সরকারের পক্ষ থেকে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানানো হয়েছে৷
মার্কিন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মাস্টার্স বলছেন গুইইয়ুয়ান নামের একটি এলাকায় ঘূর্ণিঝড়টি প্রথম আঘাত হানার কথা৷ ফলে সেখানে থাকা প্রায় ৪০ হাজার অধিবাসীর অবস্থা করুণ হতে পারে৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঐ এলাকার মানুষের কপাল কি ঘটেছে তা জানা যায়নি৷
দায়ী জলবায়ু পরিবর্তন?
ফিলিপাইন্স সরকার ও কয়েকজন বিজ্ঞানী মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই ঘূর্ণিঝড়ের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে৷ তবে হাইয়ানের জন্য জলবায়ু পরিবর্তন দায়ী কিনা তা নির্ধারণের সময় এখনও আসেনি৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি)