ফিলিপাইন্সে মুসলিম স্বায়ত্তশাসনের জন্য গণভোট
২১ জানুয়ারি ২০১৯ভোটার ছিলেন প্রায় ২৮ লাখ৷ চারদিনের মধ্যে ফল জানা যেতে পারে৷ ‘হ্যাঁ' ভোট জয়যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন৷
ফিলিপাইন্সের এই অঞ্চলটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অস্থিতিশীল ও অবহেলিত এলাকাগুলোর একটি৷ সেখানে পর্যাপ্ত অবকাঠামো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চাকরি সুবিধার অভাব রয়েছে৷ সরকারি হিসেবে, ফিলিপাইন্সে দারিদ্র্যের হার শতকরা ২১ দশমিক ৬ হলেও মিন্দানাওয়ের অর্ধেকের বেশি পরিবার দরিদ্রতার শিকার৷ শিশুদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার হারও ফিলিপাইন্সের অন্যান্য এলাকার চেয়ে কম৷
বিভিন্ন সময়ে ঐ অঞ্চলের এমন দুরবস্থার সুযোগ নিয়েছে জলদস্যু, অপহরণকারী গোষ্ঠীসহ ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপ৷
আইএস সমর্থনকারী একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী ২০১৭ সালে মিন্দানাওয়ের মারাউয়ি শহরের দখল নিয়ে নিয়েছিল৷ পরে প্রায় পাঁচ মাস ধরে অভিযান চালিয়ে শহরটি পুনরায় দখলে নেয় সরকার৷ তখন থেকে মিন্দানাওয়ে সামরিক আইন জারি রয়েছে৷
এক হিসেব বলছে, গত শতকের সত্তরের দশক থেকে বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সরকারের সংঘর্ষে অন্তত এক লক্ষ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷
এই অবস্থায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ‘মরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট' বা এমআইএলএফ ও সরকার যৌথভাবে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করে৷ সোমবারের গণভোট সেই পরিকল্পনার একটি অংশ৷
গণভোটে ‘হ্যাঁ' জয়ী হলে এমআইএলএফ-এর নেতত্বে ‘বাঙসামরো ট্রানজিশন অথরিটি' গঠন করা হবে, যা ২০২২ সালের নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবে৷ উল্লেখ্য, মিন্দানাওয়ের মুসলমানদের ‘বাঙসামরো' নামে ডাকতো দেশটির স্প্যানিশ ঔপনিবেশিকরা৷ পরবর্তীতে এলাকাটিও বাঙসামরো নামে পরিচিত হয়ে ওঠে৷
২০২২ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে ৮০ সদস্যবিশিষ্ট একটি সংসদ গঠিত হবে৷ পরে সংসদই একজন মুখ্যমন্ত্রী বাছাই করবে৷
বাঙসামরোতে স্বায়ত্তশাসন এলে অঞ্চলটির বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এছাড়া সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ এসবও কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স)