ফিফা’র প্রেসিডেন্ট পদে থেকে যাচ্ছেন ব্লাটার, বাড়ছে বিতর্ক
১ জুন ২০১১গত কয়েকদিনের নাটকীয় ঘটনার সূত্র ধরে, ফিফা'র প্রেসিডেন্ট বা সভাপতি পদের এই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে বিতর্ক৷ নির্বাচন স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে অনেকে৷ এর মধ্যে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি এবং ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন'এর কর্মকর্তারাও আছেন৷ এছাড়া, ব্লাটার'এর বিপক্ষে নাম লিখিয়েছে ভিসা, কোকাকোলা, আডিডাস এবং এমিরেট্স'এর মতো আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলি৷ কিন্তু এরপরও, আগামী চার বছর ব্লাটারই সম্ভবত থাকছেন ফিফা'র হত্তা-কত্তা-বিধাতা হয়ে৷
মোহাম্মদ বিন হাম্মাম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, ব্লাটারকে দূরে রাখার একমাত্র পথ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনটাই বাতিল করা৷ কিন্তু এরজন্য কংগ্রেস সদস্যদের প্রায় ৭৫ শতাংশের ভোট প্রয়োজন৷ যার কোনো সম্ভাবনাই নেই আর৷ তাই ‘নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন হবে' - জানিয়েছেন ব্লাটার৷ তবে নির্বাচনে জয়ী হলেও, সেই জয় টেকসই হবে কিনা - সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷
২০১৮ সালে রাশিয়া ও ২০২২ সালে কাতারে বসবে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর৷ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায়, প্রভাব খাটাতে ঘুষ দেওয়া-নেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ ওঠে ফিফা'র বিরুদ্ধে৷ বিশেষ করে, ফিফা'র নির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনে ব্রিটেন৷ অথচ, সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে মাথা ঘামাতে একেবারেই রাজি নন সেপ ব্লাটার৷ উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সাল থেকেই ফিফা প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ৭৫ বছর বয়সি এই সুইস নাগরিক৷
এদিকে, এএফসি'র ভারপ্রাপ্ত প্রধান চীনের ঝ্যাং জিলং মনে করেন যে, মোহাম্মদ বিন হাম্মাম এখনো এএফসি'র প্রধান পদে বহাল আছেন৷ ঝ্যাং এএফসি'র সাবেক প্রধান বিন হাম্মামের সহকারী ছিলেন৷ ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে হাম্মামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করলে, মঙ্গলবার ঝ্যাং'কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান করা হয়৷ ফিফা'র কথায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিন হাম্মাম নির্বাচনে জেতার জন্য ভোট কেনার চেষ্টা করেছিলেন৷ অবশ্য ঝ্যাং বলেন, বিন হাম্মামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলেও তিনিই এএফসি'র প্রেসিডেন্ট৷ তাঁকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো অধিকার ফিফা'র নেই৷ উল্লেখ্য, হাম্মামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত চলছে এখনও৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক