ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে আপোশে প্রগতি
১২ অক্টোবর ২০১৭বৃহস্পতিবার হামাস ও ফাতাহ সম্প্রীতি আলাপ-আলোচনায় লক্ষণীয় প্রগতির কথা ঘোষণা করে – এমনকি হামাস বলে যে, দু'পক্ষের মধ্যে আপোশ সম্ভব হয়েছে৷
হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘আজ ভোরে ফাতাহ ও হামাস মিশরের মধ্যস্থতায় ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়৷'' হানিয়ে আর কোনো খুঁটিনাটি না দিলেও, কায়রোয় দু'পক্ষের কর্মকর্তারা শীঘ্রই বিশদ জানাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে৷
ফাতাহ ও হামাসের প্রতিনিধিরা গত মঙ্গলবার কায়রোয় মিলিত হয়ে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা স্ট্রিপকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু করেন৷ প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি বা পিএ ফাতাহ-র সঙ্গে জড়িত৷ মিশরের মধ্যস্থতায় দু'পক্ষের বৈঠক সম্ভব হয়৷
২০০৬ সালের নির্বাচনে হামাসের বিপুল জয়ের পর দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলে একটি দুর্বল জোট সরকার ভেঙে যায়৷ তখন থেকে হামাস গাজা স্ট্রিপে ও ফাতাহ পশ্চিম তীরে শাসন চালিয়ে আসছে৷
কায়রোর আলাপ-আলোচনায় সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি এএফপি সংবাদ সংস্থাকে জানান যে, বৃহস্পতিবারের আপোশের ফলে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ গাজা ও মিশরের মধ্যে একাধিক সীমান্ত পারাপার কেন্দ্রের দায়িত্ব নেবে৷
হামাস ও ফাতাহ-র সমঝোতা অনুযায়ী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (প্যালেস্টিনিয়ান অথরিটি) পয়লা ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে গাজা স্ট্রিপে ‘‘পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব’’ পালন করার অবস্থায় আসবেন, বলে মিশরের সরকারি প্রেস সেন্টারের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসলামপন্থি হামাস দলকে একটি সন্ত্রাসবাদি গোষ্ঠী বলে বিবেচনা করে৷ গত সেপ্টেম্বরে হামাস গাজায় বিশেষ বিশেষ ক্ষমতা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ-সমর্থিত সরকারের হাতে তুলে দেবার সিদ্ধান্ত নেয়৷
দু'পক্ষের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টনের ভিত্তিতে একটি ঐক্যের সরকার সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মিশর অতীতে একাধিকবার ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতায় সাহায্য করেছে৷ ২০১৪ সালে ফাতাহ ও হামাস একটি জাতীয় সম্প্রীতির সরকার গঠন সম্পর্কে একমত হয়, কিন্তু এই চুক্তি সত্ত্বেও হামাসের অদৃশ্য সরকার গাজা স্ট্রিপে শাসন চালিয়ে যায়৷
এসি/জেডএইচ (ডিপিএ, রয়টার্স)