ফর্মুলা ওয়ান: ফেটেলকে ধরে কার সাধ্য
২২ এপ্রিল ২০১৩মালয়েশিয়ায় ফেটেল টিম অর্ডার না মেনে, অর্থাৎ কে-আগে, কে-পরে-থাকবে, কে-কখন-কাকে-ওভারটেক-করবে-অথবা-করবে-না, এ সব ব্যাপারে দলের নির্দেশ না মেনে দলীয় সতীর্থ মার্ক ওয়েবারকে পাশ কাটিয়ে রেসটা জিতেছিলেন৷ যার ফলে ওয়েবার তো যাকে বলে কিনা খেপচুরিয়াস! পরে ফেটেলকে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে হয়৷ পুরো ঘটনাটা নিয়ে দলের মধ্যে টেনশানও কম ছিল না৷
ফেটেল বাহরাইনে জেতায় সে সব কলহ-কোঁদল যেন শরতের মেঘের মতো মিলিয়ে যায়৷ দলের প্রধান ক্রিস্টিয়ান হর্নার ফেটেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷ এটা ছিল ২৫ বছর বয়সি জার্মান ড্রাইভার সেবাস্টিয়ান ফেটেলের ফর্মুলা ওয়ান ক্যারিয়ারের ২৮তম জয়৷ এ মরশুমের ১৯টি রেসের মধ্যে এ পর্যন্ত যে চারটি সমাপ্ত হয়েছে, তার মধ্যে দু'টিতে জিতেছেন ফেটেল৷ বাহরাইনে জেতার ফলে দ্বিতীয় রাইক্কোনেনের থেকে তিনি ১০ পয়েন্টে এগিয়ে রইলেন৷
ওদিকে ফেটেল পর পর তিনবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন – যা তাঁর আগে একমাত্র ফর্মুলা ওয়ানের দুই কিংবদন্তি, হুয়ান মানুয়েল ফাঞ্জিও ও মিশায়েল শুমাখার করতে পেরেছেন৷ ফাঞ্জিও এবং শুমাখার তিনবার নয়, পর পর চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন৷ সেই হিমাদ্রি শিখরে ওঠার সম্ভাবনা এবার ফেটেলেরও আছে৷ ওদিকে রেড বুল পর পর তিনবার কনস্ট্রাক্টর্স চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছে এবং এবারও জেতার আশা রাখতে পারে৷
বিশেষ করে ফেটেল ও তাঁর গাড়ির মধ্যে যখন এখন গলাগলি সম্পর্কে৷ বাহরাইনে রেসের পর ফেটেল বলেছেন: ‘‘দুর্দান্ত রেস৷ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিটোল-নিখুঁত৷ গাড়ির স্পিড ছিল অসাধারণ৷ গাড়ি এমনিতেই দ্রুত, তার ওপর রেস যত চলেছে, গাড়ি যেন ততই আরো ভালো হয়েছে৷ শেষের দিকে প্রতিটি ল্যাপে পুশ করা গেছে৷''
বাহরাইনের এই গ্রঁ প্রি'র নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে কিন্তু অপর একটি কারণে৷ রেসের পর কনস্ট্রাক্টর্স ট্রফি নেবার জন্য রেড বুল যাকে পোডিয়ামে পাঠায়, তিনি হলেন এক মহিলা: জিল জোন্স৷ ফর্মুলা ওয়ানের ইতিহাসে এটা ছিল প্রথম৷ জিল জোন্স রেসের সময় সমস্ত রেড বুল গাড়ির ও সেই সঙ্গে গ্যারেজের দায়িত্বে থাকেন৷ প্রসঙ্গত, ফর্মুলা ওয়ান সার্কিটে কোনো মহিলা ড্রাইভার নেই৷ সাউবার দলের প্রধান হলেন এক মহিলা, মনীষা কাল্টেনবর্ন৷ আর উইলিয়াম্স দলের উপপ্রধান হলেন ক্লেয়ার উইলিয়াম্স, যিনি দলপ্রধান ফ্র্যাংক উইলিয়াম্সের কন্যা৷
এসি/ডিজি (এপি, রয়টার্স)