আফগানিস্তানে অন্য আশঙ্কা
২৮ নভেম্বর ২০১৩সম্প্রতি আফগানিস্তানের দুই নারী পুরুষকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা হয়৷ ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয়েছে৷ সে দেশের নারী বিষয়ক সংস্থার প্রধান খাদিজা আখিল বলেছেন, তালেবান প্রভাবিত বাগলান রাজ্যের জয়ি নও গ্রামে ওই দুই বিবাহিত নারী পুরুষকে নিজ নিজ সংসার ছেড়ে গোপনে পালিয়ে যাওয়ার সময় ধরা হয়৷ যেহেতু দু জনেরই আলাদা আলাদা সংসার ছিল তাই গ্রামের কিছু মানুষ তালেবান শাসনামলের নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের প্রথমে ঢিল ছুড়েই মারতে চেয়েছিল৷ পরে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁদের৷ তারপর পরস্ত্রী-র সঙ্গে ‘অবৈধ' সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে হত্যা করা ২৮ বছর বয়সি তরুণটির চোখ উপড়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ফেলা হয়৷
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এমন ঘটনায় যখন উদ্বিগ্ন, ঠিক তখনই আরেকটি আশঙ্কার খবর জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ নিউইয়র্কভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থার দেয়া খবর অনুযায়ী, আফগানিস্তানে এবার ‘অবৈধ' সম্পর্ক স্থাপনের শাস্তি হিসেবে ঢিল ছুড়ে মারা নাকি আইনের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷ এমন একটি আইন পাস করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷ এ খবর জানার পরই আফগান সরকারের প্রতি এমন আইনের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণ না করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা৷ এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ‘‘(আফগানিস্তানে) আইন সংস্কারের কাজকে সমর্থন করছেন এমন সংস্থাগুলোর পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোরও উচিত প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইর উদ্দেশে একটি বার্তা পাঠানো৷ তাতে ঢিল ছুড়ে হত্যার বিষয়টিকে নতুন আইনেরও অন্তর্ভুক্ত করা হলে তার প্রভাব সরকারের বিদেশি আর্থিক সহায়তার ওপরও পড়বে – এ বিষয়টিরও উল্লেখ থাকা উচিত৷''
তবে আফগানিস্তানের আইন মন্ত্রণালয়ের শাস্তিবিধান সংক্রান্ত বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আশরাফ আজিমি জানিয়েছেন, এমন কোনো আইনের প্রস্তাব এখনো তাদের কাছে আসেনি৷ তিনি আরো জানান, ১৯৭৬ সালে প্রণীত আইনগুলোর বদলে নতুন আইন চূড়ান্ত করতে আরো অন্তত দু বছর লাগবে৷
আফগানিস্তানে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কিংবা ‘অবৈধ' যৌন সংসর্গ এখনো আইনত দণ্ডনীয়৷ তবে এ অপরাধে কাউকে ঢিল ছুড়ে মারাকে বর্তমান আইন সমর্থন করে না৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারো সর্বোচ্চ ১৫ বছরের জেল হতে পারে৷
এসিবি/জেডএইচ (এপি)