প্রাচীন নক্ষত্রের সন্ধান
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কুলের প্রধান গবেষক ড. স্টেফান কেলার রয়টার্সকে বলেছেন, তাঁরা মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছেন৷ প্রায় ১১ বছর অনুসন্ধানের পর মহাবিশ্বের প্রথম নক্ষত্রের রাসায়নিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট পায় তাঁর দল৷ স্প্রিং অবজারভেটরি থেকে স্কাইম্যাপার টেলিস্কোপের মাধ্যমে এর দেখা পান তাঁরা৷
কেলার জানান, ‘‘১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাং হওয়ার ঠিক পরেই এই নক্ষত্রের জন্ম৷ বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে এটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে৷ এর ফলে আমাদের জীবন ধারণের জন্য উপযোগী যে সব পদার্থ আশপাশে রয়েছে সেগুলো কোথা থেকে এলো, এ সম্পর্কতেও ধারণা পাওয়া যেতে পারে৷''
পৃথিবী থেকে এই নক্ষত্রের দূরত্ব প্রায় ৬,০০০ আলোকবর্ষ৷ কেলার জানান, ‘‘আমরা এটি বিশ্লেষণ করে যেসব উপাদান পেয়েছি, তা থেকে এটা নিশ্চিত এটি প্রথম প্রজন্মের নক্ষত্র৷ আর এর ভর সূর্যের ভরের ৬০ গুন৷''
ধারণা করা হত মহাকাশে লৌহের দূষণের কারণে বিস্ফোরণের মাধ্যমে নক্ষত্রের মৃত্যু হত৷ কেলার জানালেন, ‘‘এই নক্ষত্রের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সেই দূষণ খুব কম মাত্রায় হয়েছে৷ হালকা মাত্রার উপাদান অর্থাৎ কার্বন বা ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা দূষিত হয়েছে, যেখানে আয়রন বা লৌহের কোন উপাদান পাওয়া যায়নি৷ এর অর্থ প্রথম দিককার নক্ষত্রগুলো কেবল বিশুদ্ধ হাইড্রোজেন এবং হিলিয়ামের তৈরি৷''
কেলার আরও জানান, ‘‘এই নক্ষত্রের আবিষ্কারের ফলে আরও কয়েকটি জিনিস জানা গেছে৷ এক একটি নক্ষত্র পেয়াঁজের মত৷ অর্থাৎ এর ভেতরে নানা স্তর রয়েছে৷ আর আয়রন-এর মত ভারী পদার্থ থাকে একদম ভেতরে৷ তাই সুপারনোভার সময় কেবল বাইরের স্তরে থাকা কার্বন আর অল্প পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম নিঃসৃত হয়৷'' ‘নেচার' জার্নাল-এর সবশেষ সংস্করণে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে৷
এপিবি/এসবি (রয়টার্স)