প্রশাসনের নাকের ডগায় বেআইনি বাজি-ব্যবসা
বজবজ থেকে ৩৭ হাজার কিলোগ্রাম বেআইনি বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এতদিন কেন কেউ জানতো না? ডিডাব্লিউ-র এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট।
বিস্ফোরণের পর
এখানেই তৈরি হচ্ছিল বেআইনি বাজি। রোববার রাতে এখানেই বিস্ফোরণ হয়। তিনজনের মৃত্যু হয়। কোনো লাইসেন্স ছাড়াই বছরের পর বছর ধরে এখানে বাজি তৈরি হচ্ছিল।
একাধিক বাড়ি
বজবজের এই অঞ্চলে একাধিক বাড়িতে এভাবেই বেআইনিভাবে বাজি তৈরি হয়। আমাদের ক্যামেরায় উঠে এসেছে কীভাবে কোনোরকম নিয়ম না মেনে বাজি জমিয়ে রাখা হয় গুদামে।
চোর পালালে বুদ্ধি
রোববার বিস্ফোরণের পর এলাকা থেকে নয় নারী-সহ ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেআইনি কারখানা ও গুদামে তল্লাশি চালানো হয়েছে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই এই বেআইনি কারখানাগুলি চলতো। পুলিশ সব জানে।
থানায় বাজি
বজবজ এবং মহেশতলা থানা সব মিলিয়ে ৩৭ হাজার কেজি বাজি উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেন্সিক দল।
এত বাজি যায় কোথায়
যে পরিমাণ বাজি উদ্ধার হয়েছে, তা নিষিদ্ধ। গ্রিন বাজি ছাড়া আর কোনো বাজিই এখন ব্যবহার করা যায় না। এত বাজি কোথায় বিক্রি করা হতো, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাস্তার ধারে
রাস্তার ধারের শয়ে শয়ে দোকানে এভাবেই মজুত করা হতো বাজি। পুলিশের নাকের ডগায় কীভাবে এই কাজ চলতো, সেটাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
মৃত তিন
বজবজ বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে এগরায় বিস্ফোরণে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার মালদায় বাজির গুদামে বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখানেও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।