‘‘প্রশাসন কি মুড়ি খায়?
২৮ এপ্রিল ২০১৫ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আশিক মোহাম্মদ শিমুল তাঁর ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘নির্বাচন নিয়ে আর কিছুই বলার রইলো না৷ গণতন্ত্র দেখতে হলে আমাদের টিকেট কেটে জাদুঘরে গিয়ে দেখতে হবে বলে মনে হচ্ছে৷ অন্যের অধিকার হরণের বিষয়ে মানুষ একবারের বেশি দুইবার চিন্তা করছে না আর সেটাই ভাবনার বিষয়৷ শুধু বড় বড় কর্তা-ব্যক্তিদের ভোট দেবার চিত্রই আমাদের সবার ভোট দেবার চিত্র নয়, তাঁদের জন্য যে রকমের নিরাপত্তা, সাধারণ মানুষের বেলায় কি সেটাই রক্ষা হচ্ছে? চর্ম চক্ষুতে তা দর্শণীয় হয়নি৷'' এছাড়া তিনি তাঁর পাতায় এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন৷
ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করেছেন পাঠক চৌধুরী অপূর্ব৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘ছাত্রলীগ সব ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করছে ভোটার দের কষ্ট লাঘবের জন্য৷ যেনো কষ্ট করে আর ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আসতে না হয়৷ তাই আওয়ামীলীগ হলো জনগণের প্রকৃত বন্ধু৷''
সাংবাদিক শামসুদ্দীন হিরা লিখেছেন, ‘‘অবশেষে আওয়ামী লীগ ‘ক্লিয়ার' করলো যে, তাদের অধীনে ভোট চুরি হয় না, ডাকাতি হয়৷ সকাল ৯টায় প্রার্থীদের সহযোগীদের মাধ্যমে প্রায় ঘণ্টাখানেক চেষ্টা করেও নাম, নাম্বার নিতে পারিনি৷ তাঁদের আগ্রহও খুব কম দেখলাম, কেমন যেন গা ছাড়া একটা ভাব৷ আর বিএনপি সমর্থিত কোনো কর্মীকে কোথাও পেলাম না৷ ভিতরে প্রায় সব কয়টি বুথেই ঘুরার সুযোগ হয়েছিল এক কর্মকর্তা সাথে, আনিসুল হকের প্রতীক পড়া ব্যাজ ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়েনি৷ পুরো পরিবেশটাই একতরফা মনে হয়েছে আমার৷ মানুষের উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনাকে নির্বাচন কমিশন তার নতজানু নীতির মাধ্যমে ম্লান করে দিলো৷ ফলাফল কী হবে তা এই বেলায় কেন, এক সপ্তাহ আগেই বুঝেছি৷''
পারভেজ আলম লিখেছেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জের ‘গডফাদার' শামিম ওসমান জুরাইনে কি করে? লাটিম মার্কার পোলিং এজেন্টদের জোর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে কেন? প্রশাসন কি মুড়ি খায়? না কি প্রশাসনই এই সব করছে?''
টুইটারেও অবিরত চলছে টুইট৷ বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নি ক্যাট লিখেছেন, ‘‘যে কোনো মূল্যে জিতেটা আসলে কোনো জয় নয়৷ তিনি আরো একটি টুইট করেছেন, ‘‘বিএনপি নির্বাচন প্রত্যাহার করায় আমি হতাশ৷''
ভোট শুরুর সময় সকালে ভোটকেন্দ্রগুলো ঘুরে এসেছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট গিবসন৷ তখনকার পরিবেশ যেন পুরো দিনটিতেই থাকে এমনটা আশা করেছিলেন তিনি৷
উমামা বিনতে জাকারিয়া লিখেছেন, ‘‘তোমরা আমাদের ভোট দিয়ে দিয়েছো, আমরা দেইনি৷''
তৌফিক ইমরোজ খালিদি বিডিনিউজের একটি প্রতিবেদন শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘এটার কোন প্রয়োজন ছিল না৷ বাংলাদেশ ৩০ বছর পিছিয়ে গেল৷''
শহীদুল আলম লিখেছেন, ‘‘নির্বাচন প্রত্যাহার করে নিলেন বিএনপি সমর্থিত সব প্রার্থী৷''
আসিফ ফেরদৌস লিখেছেন, ‘‘তাহলে সাঈদ খোকন বা আনিসুল হক ঢাকার মেয়র হচ্ছেন৷ কি লজ্জার নির্বাচন!''
সাংবাদিক সাবির মুস্তাফা লিখেছেন, ‘‘ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচন প্রত্যাহার করেছেন৷ ভোটকেন্দ্রগুলো থেকে খারাপ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে৷''
শামীম আশরাফ ডেইলি স্টারের দুটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন টুইটারে৷
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ