প্রমীলা বিশ্বকাপে ব্যর্থতার ধাক্কা সামলাতে পারছে না জার্মানি
১১ জুলাই ২০১১খেলায় হার-জিত রয়েছে – একথা মেনে নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, এমন অঘটন কীভাবে ঘটলো? তাহলে কি টিমের খোলনলচে বদলে নতুন করে শুরু করতে হবে? কোচ হিসেবে সিলভিয়া নাইড কি সেই কাজ করতে পারবেন – নাকি তিনি নিজেই এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী? এমন নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে৷ টিমের সাফল্য ফিরিয়ে আনতে কোচ হিসেবে নাইড'এর হাতে প্রায় ২ বছর সময় রয়েছে৷ তাঁর চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০১৬ সালে৷ ২০১৩ সালে সুইডেনে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে জার্মান প্রমীলারা আবার ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ পাবে৷ শুধু বিশ্বকাপ ফুটবল থেকে বিদায় নয়, জার্মান প্রমীলা টিম আগামী বছর লন্ডনে অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগও হাতছাড়া করেছে৷ ফলে এই বাড়তি সময় পাওয়া গেছে৷
তবে টিমে কোনো বড় রদবদলের কথা ভাবছেন না নাইড৷ বির্গিট প্রিনৎস ও আরিয়ানে হিংস্ট বিশ্বকাপের আগেই অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ এছাড়া বাকি সবাইকেই আপাতত টিমে রাখতে চান নাইড৷ এবারের বিশ্বকাপে দেখা গেছে, যে জার্মান নারীরা মাঠে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলার কাজে বেশ পারদর্শী, কিন্তু ডিফেন্স অপেক্ষাকৃত দুর্বল৷ প্রতিপক্ষ সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেই গোল করতে পেরেছে৷ দুর্গের প্রাচীরে সেই ফাটল বন্ধ করাই নাইড'এর অন্যতম প্রধান কাজ হবে৷
তবে জার্মানির ব্যর্থতার পর নাইড'এর বিরুদ্ধেও বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছে৷ তাঁর কাঁধেই ব্যর্থতার দায় চাপিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই৷ খোদ জার্মান ফুটবল ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট রল্ফ হকে বলেছেন, নাইড'কে বেশ কিছু অপ্রিয় প্রশ্নের জবাব দিতে হবে৷ তবে প্রেসিডেন্ট টেও সোয়ানসিগার নাইড'এর যোগ্যতা নিয়ে এখনো কোনো প্রশ্ন তুলতে প্রস্তুত নন৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক