প্রবল বৃষ্টিতে ঢাকায় জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ
রাজধানী ঢাকায় আজ ভোর থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে ডুবে গেছে অধিকাংশ সড়ক৷ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি বিকল হয়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট৷
ছুটির দিনে জনদুর্ভোগ
সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও বেশির ভাগ চাকুরে নাগরিকদের ঘর ছাড়ার প্রয়োজনীয়তা নেই৷ তবে অনিবার্য প্রয়োজনে যারা পথে নেমেছেন, তারা প্রচণ্ড দুর্ভোগে পড়েছেন৷
মহানগরজুড়ে স্থবিরতা
রাস্তাগুলো জলমগ্ন হওয়ায় অনেক এলাকায় যানবাহন চলছে মন্থর গতিতে৷ কোনো কোনো এলাকায় যান চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে৷ স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন৷
ডিএমপি’র অনুরোধ
এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীবাসীকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-র ট্রাফিক বিভাগ৷ সকাল ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ছয় ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩০ মিলিমিটার৷
জলমগ্ন যেসব এলাকা
ফকিরেরপুল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, তোপখানা রোড,মৎস্যভবন, কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, আরামবাগ ,প্রগতি সরণী,নিউমার্কেট, ধানমন্ডির রাপা প্লাজা, মিরপুরে রোকেয়া সরণি, পুরোনো ঢাকার দয়াগঞ্জ মোড়, বংশাল, নিমতলীর টোয়েনবি সার্কুলার রোড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে৷
ডুবে গেছে পুরো রাস্তা
আসাদ গেট থেকে রাপা প্লাজা পর্যন্ত সড়কে বহু বাস, ছোট ছোট ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আটকে পড়েছে৷ ফলে এই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে৷
বাসার সামনে পানি
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে অনেক বাসাবাড়ির সামনে পানি জমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে৷
রাস্তা পারাপারে রিকশা আর ভ্যান
প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যাওয়ায় অনেকে রাস্তা পার হচ্ছেন রিকশা বা ভ্যানে৷ এজন্য ভাড়া গুণতে হচ্ছে ভ্যানে ২০ টাকা আর রিকশায় ৪০ টাকা৷
জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যস্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা
জলাবদ্ধতা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পাঁচ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এছাড়া ১০টি অঞ্চলে কাজ করছে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম। ইতোমধ্যে প্রধান সড়কগুলো থেকে পানিনিষ্কাশন করা হয়েছে।
পানি ঠেলে চলছে গাড়ি
সড়কের বদলে যেনো নদীতে চলছে গাড়ি৷
দুর্বল পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা
ঢাকায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা খুবই খারাপ৷ ড্রেন ও সুয়ারেজ লাইনগুলো থেকে ময়লা পরিষ্কার না করায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নেমে যেতে পারে না৷ হাজারীবাগ নতুন রাস্তাটির কাঁচাবাজার মোড় থেকে উত্তর দিকে সিঙ্গারের তিন রাস্তার মোড় পর্যন্ত পুরোটাই হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে৷ এছাড়া কোথাও হাঁটু পানি এবং কোথাও কোমর সমান পানির মধ্যে দিয়েও গন্তব্যে পৌঁছেছেন অনেকে৷