হাসিনা-খালেদা সংলাপ
২৬ অক্টোবর ২০১৩বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শনিবারের মধ্যে তাঁর দেয়া নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শুরুর দাবি জানিয়েছেন৷ অন্যথায় রবিবার থেকে ৩ দিনের হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷
এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল আলম হানিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, খালেদা জিয়ার হরতাল ঘোষণার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা তথ্যমন্ত্রী শুক্রবার সকালেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন৷ তারপরও হরতাল বা আল্টিমেটাম দেয়ার কোন মানে হয়না বলে মনে করেন হানিফ৷
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলীয় নেত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার পরই হয়তো সংলাপের প্রক্রিয়া শুরু হবে৷ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ বিরোধী দলীয় নেত্রীও তাঁর প্রস্তাব দিয়েছেন৷ দুটি প্রস্তাবই আলোচনায় আসতে পারে৷ কিন্তু খালেদা জিয়া না জেনে অথবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সরকারকে অবৈধ বলেছেন৷ এ ধরনের কথা আলোচনার পরিবেশ নষ্ট করে৷ তবে এ ধরনের কথা আমলে নেয়ার মত কথা নয় বলে মনে করেন তিনি৷
অন্যদিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি বলেন, সংসদের মেয়াদ যতদিন, সরকারের মেয়াদও ততদিন৷ খালেদা জিয়া সরকারকে অবৈধ বললে তিনি নিজেও তো বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে অবৈধ হয়ে যান বলে ডয়চে ভেলের কাছে মন্তব্য করেন সুরঞ্জিত৷ তিনি বলেন, এমনিতেই সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচনার কথা ভাবছে৷ কিন্তু হরতাল দিয়ে বিষয়টি জটিল করে তোলা হলো৷ তিনি মনে করেন, বিরোধী দলের হরতাল প্রত্যাহার করা উচিত৷
সুরঞ্জিত বলেন, খালেদা জিয়া হাস্যকর কথা বলছেন৷ তালগোল পাকিয়ে ফেলছেন৷ সরকারকে অবৈধ বলেন, আবার সরকারের কাছেই দাবিদাওয়া তুলে ধরেন৷ তাঁর দেয়া নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনার কথা বলেন৷ আবার দাবি করেন এই রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচন হতে হবে৷ সুরঞ্জিত বলেন, কী হবে তা আলোচনার মাধ্যমেই ঠিক হবে৷ আর সরকার সংবিধানের বাইরে যাবেনা৷