প্রতিরক্ষা বাজেট ৭.২ শতাংশ বাড়াবে চীন
৫ মার্চ ২০২৪মঙ্গলবার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের বার্ষিক সম্মেলনের শুরুর দিন এসব ঘোষণা দেন চীনা প্রধানমন্ত্রী৷ এছাড়া ২০২৪ সালের জন্য সরকারের গ্রহণ করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালাও তুলে ধরেন তিনি৷
গতবছরও প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট একই পরিমাণে বাড়ানো হয়েছিল৷ এবং গতবারের মতো এবারও প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বেশি ধরা হয়েছে৷
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ানকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্ব ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে৷ চীন তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল মনে করে এবং ভবিষ্যতে কোনো একসময় একত্রিত হবে বলে আশা করে৷ মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি এক প্রতিবেদনেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়৷ তবে এবার পুনরেকত্রীকরণের ক্ষেত্রে ‘শান্তিপূর্ণ' শব্দটি বাদ দেওয়া হয়েছে৷
সিঙ্গাপুরের ‘রাজারত্নম স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের' প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক লি মিংজিয়াং বলেন, অর্থনীতির অবস্থা খারাপ হলেও প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানোর ক্ষেত্রে তাইওয়ানের বিষয়টি বড় বিবেচনায় নিয়েছে চীন৷ ‘‘চীন দেখাতে চাইছে, আগামী দশকে দেশটি তার সামরিক বাহিনীকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায় যেন অনিচ্ছা সত্ত্বেও যুদ্ধ করতে হলে যেন তারা জিততে পারে,'' বলেন তিনি৷
বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ১১ বছরের মেয়াদে প্রতিরক্ষা বাজেট দ্বিগুন হয়েছে৷ এ বছর সেটি ২৩০ বিলিয়ন ডলার হবে৷
লন্ডনের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ' এর গতমাসে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, চীনের প্রতিরক্ষা বাজেটের একটি বড় অংশ কেনাকাটায় খরচ হতে পারে, কারণ ২০৩৫ সালের মধ্যে সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং৷ ইতিমধ্যে যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজ থেকে শুরু করে ড্রোন ও আধুনিক মিসাইল ইত্যাদি তৈরি করছে চীন৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)