‘প্রতিদিন মারা যাচ্ছে একজন শরণার্থী শিশু'
২৯ জুন ২০১৯শুক্রবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএম এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ রিও গ্রান্দে নদী পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার চেষ্টা করার সময় মেক্সিকান বাবা ও সন্তানের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বজুড়ে৷ এর কয়দিন পরই প্রকাশ হলো এই প্রতিবেদন৷
আইওএম-এর প্রতিবেদনটির শিরোনাম দেয়া হয়েছে- ফ্য়াটাল জার্নি৷ ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত অন্তত ৩২ হাজার শরণার্থী নিহত হয়েছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন৷ এর মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সির সংখ্যা ১,৬০০৷ এঁদের মধ্যে ৬ মাসের কম বয়সি শিশুও রয়েছে৷
সংস্থাটির গ্লোবাল মাইগ্রেশন ডেটা অ্যানালিস্ট ফ্রাঙ্ক লাক্সকো জানিয়েছেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের মনে রাখতে হবে, শরণার্থীদের মধ্যে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার৷''
গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, বাস্তব সংখ্যা প্রতিবেদনের চেয়েও বেশি হতে পারে৷ অনেকের মরদেহ কখনই শনাক্ত করা সম্বব হয়নি৷ শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা লিপিবদ্ধ করা আরও কঠিন, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁদের বয়স নির্ধারণে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায় না৷
ভয়াবহ ভূমধ্যসাগর
অভিবাসীদের সবচেয়ে ভয়ংকর যাত্রাপথ হিসেবে এরই মধ্যে চিহ্নিত হয়েছে ভূমধ্য়সাগর৷ ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শুধু ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ হাজার নয়শ জনের বেশি মানুষ৷ এর মধ্য়ে ৬৭৮ জন শিশু৷
তবে নিহতদের ১২ হাজারের মরদেহ হয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, অথবা পানি থেকে উদ্ধারই করা যায়নি৷
আফ্রিকায় যেতে গিয়ে মারা গেছে অন্তত ৩৩৭ শিশু৷ তবে এই অঞ্চলের সঠিক তথ্য সবসময় না পাওয়ার কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে৷ এদের মধ্য়ে ইউরোপ আসার লক্ষ্যে উত্তর আফ্রিকায় যেতে গিয়ে মারা গেছে ১৪৪ শিশু৷
বিশ্বে শরণার্থী কয়েক লক্ষ শিশু
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগ দিতে বা সংঘাত-সংঘর্য এড়াতেই শরণার্থী জীবন বেছে নিতে হয় শিশুদের৷ এছাড়া উন্নততর জীবন, ভালো জীবিকা এবং মৌলিক অধিকারের সন্ধানেও অনেকে দেশ ছাড়েন৷
২০১৭ সালের এক প্রতিবেদনে ইউনিসেফ জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে তিন কোটি শিশু জন্মভূমি ছেড়ে অন্য দেশে বসবাস করছে৷ এর মধ্য়ে প্রায় সোয়া এক কোটি শিশু শরণার্থী এবং আরো ১০ লাখ শিশু অভিবাসনপ্রত্যাশী৷
এডিকে/এআই (রয়টার্স, এপি)