পোশাক খাতে ‘ডিজিটাল ম্যাপ'
৩১ জুলাই ২০১৭এ সব সংগঠনের অভিযোগ, বাংলাদেশে বড় তৈরি পোশাক কারখানার সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া সহজ নয়৷ সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া এ সব প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে বড় পোশাক নির্মাতারা স্বচ্ছতা অবলম্বন করেনা৷ ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের দিয়ে দীর্ঘসময় কাজ করানো ও তাদের কম মজুরি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে৷
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘ডিজিটাল আরএমজি ফ্যাক্টরি ম্যাপিং ইন বাংলাদেশ' বা ডিআরএফএম-বি নামে একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে৷ এর আওতায় দেশের সব পোশাক কারখানার বিস্তারিত তথ্য নিয়ে একটি ‘ডিজিটাল ম্যাপ' তৈরি করা হবে৷ সবার জন্য উন্মুক্ত এই ম্যাপের সাহায্যে যে কেউ সহজেই অনলাইনে কোনো পোশাক নির্মাতা সম্পর্কে নানান তথ্য পাবেন৷
এ সমস্ত তথ্যের মধ্যে রয়েছে, কারখানার নাম, স্থান, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের সংখ্যা, উৎপাদনকারী পণ্যের ধরন, যে সব দেশে পণ্য রপ্তানি করা হয় সেগুলোর নাম, যেসব ব্র্যান্ড পোশাক কিনে থাকে তাদের নাম, কারখানা ভবনের ধরন, কাছাকাছি হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, ট্রেড ইউনিয়নের তথ্য ইত্যাদি৷
প্রকল্পের প্রধান পারভিন এস হুদা বলেন, সাব-কন্ট্রাক্টরদের সম্পর্কে যে অভিযোগগুলো রয়েছে তা দূর করা হবে এই প্রকল্পের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য৷
পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ কার্যালয়ে শনিবার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত৷ এর আওতায় ২০১৮ সালে ঢাকা অঞ্চলের কারখানাগুলোর তথ্য নিয়ে ডিজিটাল মানচিত্রটি চালু করা হবে৷ এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি জেলার কারখানার তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷ সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো সঠিক ও হালনাগাদ রাখার জন্য ‘ক্রাউডসোর্চ' পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে৷
সিঅ্যান্ডএ ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও বিজিএমইএর সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কেন্দ্র (সিইডি)৷
জেডএইচ/ডিজি (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)
ডিজিটাল ম্যাপিং কি পোশাক কারখানার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে? লিখুন নিচের ঘরে৷