পোশাক কারখানা পরিদর্শন
২৭ ডিসেম্বর ২০১৩গত বছর তাজরিন ফ্যাশনস-এ আগুন লাগার ঘটনার পর চলতি বছরের এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের পোশাক কারাখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা চরম সমালোচনার মুখে পড়ে৷
সেটা কাটিয়ে উঠতে সরকার পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য ২৪ মিলিয়ন ডলারের একটি কর্মসূচি হাতে নেয়৷ এর আওতায় প্রায় ১,৫০০ কারখানা পরিদর্শনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷
পরিকল্পনা অনুযায়ী জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকের মধ্যে ২০০ কারখানা পরিদর্শনের কথা থাকলেও মাত্র ৭৫টি কারখানায় কাজ শেষ করা গেছে৷ পরিদর্শক দলের সমম্বয়কারী মেহেদী আহমেদ আনসারি জানিয়েছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পরিদর্শকরা কারখানা পরিদর্শন করতে পারছেন না৷ ফলে তাঁদের কাজও এগোচ্ছে না৷
শ্রম সচিব মিকাইল শিপার'ও পরিদর্শনের কাজে ধীরগতির কথা স্বীকার করেন৷ তিনি বলেন নিরাপত্তার কারণে পরিদর্শকরা ঢাকার বাইরে যেতে পারছেন না৷ আগামী বছর আগস্টের মধ্যে এক হাজার কারখানা পরিদর্শনের কাজ শেষ হওয়ার কথা, বলে জানান শ্রম সচিব৷ কিন্তু এখন সেটা সম্ভব হবে বলে মনে করেন না তিনি৷
বিজিএমইএ-এর সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান আগস্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারখানার নিরাপত্তা উন্নয়নের পরিদর্শনের কাজ শেষ করা না গেলে পরবর্তী কাজ এগোবে না৷ ফলে ক্রেতাদের কাছ থেকে তারা চাপের মুখে পড়বেন৷ তিনি বলেন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে একদিকে যেমন উৎপাদন ও রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অন্যদিকে নিরাপত্তা উন্নয়নের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে৷ ফলে তাঁরা এখন সংকটের মধ্যে আছেন৷
এদিকে, সরকার যে দেড় হাজার কারখানা পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে তার বাইরে আরও ২,০০০ কারখানা পরিদর্শন করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রিটেলাররা৷
তহবিল গঠন
তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিক সংগঠনদের সঙ্গে মিলে চারটি আন্তর্জাতিক রিটেলার রানা প্লাজা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ৪০ মিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল গঠনে সম্মত হয়েছে৷