পোশাক কারখানায় নিরাপত্তা নিয়ে অভিযোগ
২০ মার্চ ২০১৯২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজা ধসে ১,১৫৩ জন শ্রমিক প্রাণ হারান৷ আহত হন অন্তত ২,৪৩৮ জন৷ ভয়াবহ সেই ঘটনা সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার সার্বিক পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে৷ ২০১৪ সালে তৈরি পোশাকশিল্পের কাজের পরিবেশ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে কাজ শুরু করে অ্যাকর্ড৷ বিশ্বের ২০টির মতো দেশের অন্তত ১,৭০০ তৈরি পোশাক কারখানা নিয়ে কাজ করছে তারা৷ তবে গতবছর বাংলাদেশের এক তৈরি পোশাক কারখানা অ্যাকর্ডের বিরুদ্ধে মামলা করে৷ সেই মামলার প্রেক্ষিতে এক রায়ে বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের কাজ বন্ধ করার রায় দেয় হাইকোর্ট৷ আগামী ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে আপিলের শুনানি হওয়ার কথা৷
তবে বাংলাদেশে অ্যাকর্ডের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় পড়লেও পোশাক কারখানায় কাজের সুষ্ঠু ও নিরাপদ পরিবেশ এখনো অনেকাংশেই নিশ্চিত নয়৷ বরং সোমবার অ্যাকর্ড যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার বিবরণ অনুযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগের হার বেড়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে কাজ শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১১৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে তাদের কাছে৷ তার মধ্যে গতবছরই এসেছে ৬৬২টি৷ প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, আগের কোনো বছরে এত অভিযোগ পাওয়া যায়নি৷
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০১৪ সাল থেকে পাওয়া মোট অভিযোগের এক তৃতীয়াংশের নিষ্পত্তি করা অ্যাকর্ডের পক্ষে সম্ভব হয়েছে৷ তাদের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করা পোশাক কারখানাগুলোর মধ্যে ১০০টি কারখানাকে অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে৷ তৈরি পোশাক ক্রেতাদের এই জোট মনে করে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে তাদের অন্তত ২০২১ সাল পর্যন্ত কাজ করা দরকার৷
জাতীয় পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনের আমিরুল হক আমিন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘অ্যাকর্ডের তোলা অভিযোগগুলোকে পোশাক মালিকরা তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব দেয়, কারণ, তাঁরা জানেন, ক্রেতারাও অন্যতম স্টেক হোল্ডার৷ সুতরাং অভিযোগ যথাযথভাবে নিষ্পত্তি না করলে ব্যবসায় তার প্রভাব পড়বে৷ ''
‘বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি'-র নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার বলেন, ‘‘এটি (অ্যাকর্ড) খুব শক্ত একটা প্ল্যাটফর্ম৷ আমি যতদূর দেখেছি অ্যাকর্ডের মাধ্যমে কোনো অভিযোগের নিষ্পত্তি হলে পোশাক কারখানায় তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে৷''
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স)