পূর্ব ইউরোপকে আশ্বস্ত করলেন বাইডেন
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩এই দেশগুলিকে বলা হয় বুখারেস্ট নাইন। পূর্ব ইউরোপের এই নয় দেশ হলো, বুলগারিয়া, চেক রিপাবলিক, এস্তোনিয়া, হাঙ্গেরি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়া। পোল্যান্ড ছাড়ার আগে এই নয় দেশের নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন বাইডেন।
এই নয় দেশের নেতাদের বাইডেন বলেছেন, ''আমি আগেও অনেকবার জানিয়েছি, ন্যাটোর প্রতিটি ইঞ্চি জমি রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ।''
কী নিয়ে আলোচনা হলো
বাইডেন এই নয় দেশের নেতাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ''ন্যাটো নিয়ে অ্যামেরিকা য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পালন করবে।''
এই নয় দেশ ইউক্রেনকে বাড়তি সামরিক সাহায্য দেয়ার পক্ষে। তারা জানিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য এটা জরুরি।
লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট আলোচনার পর জানিয়েছেন, তিনি বাল্টিক দেশগুলিকে আরো সামরিক সাহায্য দেয়ার কথাও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ''আমি অত্য়াধুনিক কিন্তু অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি এই দেশগুলিতে মোতায়েন করার জন্য বলেছি। যেমন, এয়ারস্পেস নজরদারি ব্যবস্থা, হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক কামান। এই দেশগুলিতে ওই সামরিক সরঞ্জাম রোটেশনের ভিত্তিতে মোতায়েন করার অনুরোধ জানিয়েছি।''
রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করে নেয়ার পর বুখারেস্ট নাইন গ্রুপ তৈরি হয়েছিল। তবে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে। তাই তিনি আসেননি, বাইডেনের ডাকা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট কাতালিন নোভাক।
এই নয় দেশের আশঙ্কা, ইউক্রেনের পর রাশিয়া তাদেরও আক্রমণ করতে পারে। তাই তারা যুদ্ধ শেষ করতে চাইছে না।
বাইডেনের নিন্দা
বাইডেন এখানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের নিন্দা করে বলেছেন, পুটিন যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আলোচনায় অংশ না নেয়ার কথা জানিয়েছেন, তা ঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা বড় ভুল।
পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ইইউ-র উচিত প্রতিরক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানো। তাহলে রাশিয়ার আক্রমণ থেকে ইউরোপকে রক্ষার খরচটা ভাগাভাগি হয়ে য়াবে। ইউরোপও রক্ষা পাবে।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)