ফেসবুক, টুইটারে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা
১৫ জানুয়ারি ২০১৫‘‘হরতাল, অবরোধের সময় বোমাবাজি ঠেকাতে অস্ত্র ব্যবহার করবে বিজিবি,'' না, কোনো রাজনীতিবিদের বক্তব্য নয় এটি৷ বলেছেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষা বাহিনী বা বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিব আহমেদ৷ এই বাহিনীর মূল কাজ বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষা হলেও তাদের এখন নামানো হয়েছে দেশের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্বে৷
বিজিবি প্রধান যে অস্ত্র ব্যবহারের কথা বলেছেন, সেগুলো প্রাণঘাতি৷ অন্য কোনো অস্ত্র তার বাহিনীর কাছে নেইও৷ বৃহস্পতিবার সেকথা স্বীকারও করেছেন তিনি৷ তাঁর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘সারাদেশের অনেকগুলো স্থানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে৷ মহাপরিচালক বললেন, প্রয়োজনে তাঁরা ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র' ব্যবহার করবেন৷''
তিনি লিখেছেন, ‘‘প্রশ্ন হলো, দেশের ভেতরে ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষা' করতে যখন এই বাহিনীকে বারবারই ডাকতে হয়, বারবার সেই কাজেই যখন তাদের লাগাতে হয় তখন তাদের নাম সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ' (বিজিবি) রাখবার দরকার কী?''
এদিকে, অবরোধ চলাকালে রংপুরে এবং ঢাকায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন কয়েকজন৷ রাজনীতির বলি এই মানুষগুলোর কথা স্ট্যাটাসে তুলে ধরেছেন সাংবাদিক সওগাত আলী সাগর৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘কূপে পড়ে যাওয়া শিশুর জন্য যে বিবেক আহজারি করে ওঠে, প্রতিবাদ জানায়, সেই বিবেকই আবার পেট্টোল বোমায় শিশু দগ্ধ হওয়ার খবরেও শান্তিতে নিদ্রায় যায়৷ সত্যিই কী বিচিত্র আমাদের বিবেক আর অনুভূতি৷''
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা খবর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হচ্ছে৷ মার্কিন ম্যাগাজিন টাইমে প্রকাশিত এক ছবি বৃহস্পতিবার টুইটারে টুইট, রিটুইট করেছেন অনেকে৷
তবে অবরোধ এবং হরতাল চললেও জনজীবন স্বাভাবিক আছে বলে জানিয়েছেন টুইটার ব্যবহারকারী আসিফ খান অভি৷ বক্তব্যের সপক্ষে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি৷
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে এখনো রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে বাংলাদেশে৷ অস্থিরতা নিরসনে আন্তর্জাতিক মহল থেকে সংলাপের আহ্বান জানানো হলেও ক্ষমতাসীন দলের দিক থেকে সংলাপে বসার কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন