পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ
২৯ জুলাই ২০১৯মানবাধিকার সংগঠনগুলো দাবি করেছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে৷ সোমবার জেনেভাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ওয়ার্ল্ড অরগানাইজেশন অ্যাগেইন্সট টরচার (ওএমসিটি) ও বাংলাদেশভিত্তিক সংগঠন অধিকার যৌথভাবে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷
২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৩০০টি কেসের পর্যালোচনার ভিত্তিতে ‘সাইকেল অফ ফিয়ার' বা ভয়ের চক্র শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়৷ নির্যাতনের শিকার অভিযুক্ত, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের সদস্যরা এবং আন্তর্জাতিক সংঘঠনগুলোর তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে৷
সেখানে বলা হয়েছে, আটকদের ওপর ‘চূড়ান্ত মাত্রার শারীরিক নির্যাতন' করা হয়েছে, যেমন, পায়ে গুলি করা, হাড় ভেঙ্গে ফেলা, হাত ও পায়ে ড্রিল করা, ধর্ষণ ইত্যাদি৷ এমনকি মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে৷
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নির্যাতন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বেড়েছে৷ সরকার এসব ঘটনার তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে৷
তবে সরকার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘‘গেল ১০ বছরে দেশে আইন বহির্ভূতভাবে কিছুই ঘটেনি৷ স্বীকারোক্তি আদায়ে সরকারিযন্ত্র কোনো নির্যাতন করেনি৷''
ওএমসিটি মহাসচিব জেরাল্ড স্ট্যাবেরক প্রশাসনকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে অভিযোগ করে বলেন ঘুস খাওয়ার জন্য অনেক সময় এমন নির্যাতনের পদ্ধতি প্রয়গো করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলো৷
‘‘সমস্যার গভীরতা স্বীকার করার জন্য আমরা বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচারবিভাগকে ঢেলে সাজাবার জন্য পরামর্শ দিয়েছি,'' বলেন তিনি৷
সংগঠনগুলো বলছে যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকটে সমস্যা বেড়েছে৷ প্রধান বিরোধী দল বাংলদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অনেক নেতা কারাগারে আছেন৷ তারা রাজনৈতিক মামলার স্বীকার বলে অভিযোগ রয়েছে৷
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘‘সরকার বারবার অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স' নীতির কথা মুখে বললেও বাস্তবে এর প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না৷''
জেডএ/কেএম (রয়টার্স)