1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পুনর্গণনা' শেষে সুপ্রিম কোর্ট বারে সম্পাদক পদের বিজয়ী ঘোষণা

২৮ এপ্রিল ২০২২

দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সমিতির নির্বাচন শেষে নানা বিতর্কের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা সম্পাদক পদে আবদুর নূর দুলালকে জয়ী ঘোষণা করেছেন৷ তবে তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা৷

https://p.dw.com/p/4AY4k
Oberstes Gericht von Bangladesch in Dhaka
সুপ্রিম কোর্ট ফাইল ফটো()ছবি: AFP/Getty Images/M. Uz Zaman

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রতিবেন অনুযায়ী, বুধবার বিকালে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিরোধিতা এবং মারামারির পর ব্যালট রাখার কক্ষে অবস্থান নেন সমিতির বিদায়ী সহসভাপতি মো. অজি উল্লাহ এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা৷

নিজেকে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির নতুন আহ্বায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাত ১০টায় ভোট পুনর্গণনার ফল ঘোষণা করেন অজি উল্লাহ৷

তিনি জানান, আবদুর নুর দুলাল ২ হাজার ৮৯১ ভোট পেয়েছেন৷ অন্যদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী রুহুল কুদ্দুস কাজল দুই হাজার ৮৪৬ ভোট পেয়েছেন৷ অর্থাৎ, দুলাল তার প্রতিদ্বন্দ্বী কাজলের চেয়ে ৪৫ ভোট বেশি পেয়েছেন৷

ফল ঘোষণার পরই সমিতিতে সম্পাদকের কক্ষে চেয়ারে বসেন দুলাল৷ এ সময় আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান৷ একই সাথে এই কক্ষে সম্পাদকের নামফলক পাল্টে রুহুল কুদ্দুস কাজলের বদলে আবদুন নূর দুলালের নাম লাগানো হয়৷

বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা এই ভোট পুনর্গণনার বিরোধিতা করে আসছিলেন৷ বিকালে সমিতির সম্মেলন কক্ষে ঢুকতে তারা অজি উল্লাহদের বাধা দিলে মারামারিও বাধে৷

সমিতির বিদায়ী সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, অজি উল্লাহ নির্বাচন পরিচালনায় উপ-কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে যে দাবি করছেন, তা বৈধ নয়।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবারের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত ১৫ মার্চ৷ সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান৷

১৭ মার্চ ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে মোমতাজউদ্দিন ফকিরসহ ছয়টি পদে জয়ী হয়েছে৷

আর জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যপরিষদের নীল প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ আটজন জয়ী হয়েছে৷ এখন কাজলের পরিবর্তে দুলালকে বিজয়ী ঘোষণা করায় দুই প্যানেল থেকে বিজয়ী সাত জন করে হবেন৷

আওয়ামী সমর্থক আইনজীবী প্যানেল পক্ষের সম্পাদক প্রার্থী ভোট পুনর্গণনার দাবি করে লিখিত আবেদন জানালে ফল ঘোষণা আটকে যায়। এরপর ফল ঘোষণা না করে মশিউজ্জামান সমিতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে খবর আসে।

এক মাসের বেশি সময় ধরে এটি ঝুলে থাকার মধ্যে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেন সমিতির বিদায়ী কমিটির সভাপতি অজি উল্লাহ। তিনি দাবি করেন, গত ১২ এপ্রিল সমিতির কার্যকরি কমিটির মেয়াদের শেষ এক সভায় তাকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি নির্বাচন উপকমিটি করা হয়েছে৷

সংবাদ সম্মেলনে অজি উল্লাহ বুধবার সমিতিতে গিয়ে সম্মেলন কক্ষে থাকা ব্যালট পেপার পুনর্গণনা করার ঘোষণা দেন৷

এর প্রতিক্রিয়ায় বিদায়ী সম্পাদক ও এবারেও প্রার্থী কাজল বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, অজি উল্লাহ নির্বাচন পরিচালনায় উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে যে দাবি করছেন তা সঠিক নয়৷

বিকালে অজি উল্লাহর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সমিতিতে ঢুকতে গেলে সেখানে বিএনপি সমর্থকরা বাধা দিলে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়, কিল-ঘুষিও চলে। খবর পেয়ে পুলিশও যায় সেখানে।

এরপর অজি উল্লাহরা ঢুকে পড়ে ভোট পুনর্গণনা শুরু করলে বিএনপি সমর্থকরা বাইরে অবস্থান নেয়। রাতে ফল ঘোষণার পর তা অবৈধ বলে দাবি করেন রুহুল কুদ্দুস কাজল৷

তিনি বলেন, "ফলাফল সম্পূর্ণ অবৈধ। নতুন যে নির্বাচন উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের এ কমিটি গঠন করার কোনো ক্ষমতা নাই৷ কারণ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বিগত কার্যকরী কমিটিতে ১৩ জন সদস্য৷ সাতজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন উপকমিটি গঠন করা যায় না৷"

অন্যদিকে আবদুন নূর দুলাল তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "সত্যের জয় হয়েছে। এর বেশি আর কিছু বলব না।"

সমিতির ২০২২-২৩ মেয়াদের এ নির্বাচনের ভোটার ছিল মোট ৮ হাজার ৬২৩ জন। এর মধ্যে গত মাসে দুই দিনে ভোট দেয় ৫ হাজার ৯৮৩ জন।

এএস/এফএস    (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম)