পুটিনের সঙ্গে বৈঠক নয়: ইইউ
২৫ জুন ২০২১সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন। বৈঠকের পর দুই দেশই জানিয়েছে, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বহু বিষয়ে মতান্তর থাকলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয়েছে। জেনেভায় সেই বৈঠকের পরেই পুটিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তাদের প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পাঠিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ২৭ দেশের ব্লক বৈঠকে রাজি হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশের বক্তব্য, রাশিয়া যে ভাবে রাজনীতি করছে, তাতে এখন রাশিয়াকে আলোচনায় ডাকলে ভুল বার্তা দেওয়া হবে। বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া মনোভাব নেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বেশ কিছু দেশ। নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে ইইউ-র পররাষ্ট্র সম্পর্কের প্রধান জোসেফ বরেলকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে ম্যার্কেল বলেছিলেন, আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। বিতর্ক না বাড়িয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসা হোক। মাক্রোঁর বক্তব্য ছিল, ইউরোপ মহাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে আলোচনায় বসা জরুরি। কিন্তু অধিকাংশ ইইউ রাষ্ট্র তা মানতে চায়নি।
২০১৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে শেষবার আলোচনায় বসেছিল ইইউ। এরপর রাশিয়ার ক্রিমিয়া আক্রমণ নিয়ে পুটিনের সঙ্গে ইইউ-র দূরত্ব তৈরি হয়। লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে বলেছেন, ক্রেমলিন শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতি বোঝে। সুতরাং তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার অর্থ হয় না। বৈঠক করা মানে, ভুল বার্তা দেওয়া। লিথুয়ানিয়াও একই কথা বলেছে বৈঠকে।
গত এক বছরে রাশিয়ার সঙ্গে ইইউ-র দূরত্ব আরো বেড়েছে। বিশেষত রাশিয়ার রাজনীতিক নাভালনিকে যেভাবে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল এবং পরে যে ভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে ইইউ-র সঙ্গে রাশিয়ার তীব্র বিতর্ক হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে। এদিনের বৈঠকের পর আরো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)