পিলখানা হত্যা মামলার চূড়ান্ত ফলাফল নিয়ে সংশয়
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
সীমান্ত রক্ষী বাহিনীতে বিদ্রোহের মধ্যে পিলখানায় অর্ধ শতাধিক সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের মামলার ২০১৭ সালে দেওয়া রায়ে হাই কোর্ট ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে এবং ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়৷ তিন থেকে ১০ বছরের সাজা হয় ২২৮ জনের৷
অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ২০টি লিভ টু আপিল করেছেন৷ এর মধ্যে হাই কোর্টের রায়ে খালাস পাওয়া ৭৫ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি এবং মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন পাওয়া ৮ জনের শাস্তি বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে৷ বিচারিক আদালতের রায়, হাই কোর্টের রায়, এফআইআর, অভিযোগপত্র মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার পৃষ্ঠার আপিল জমা দিতে হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা৷
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহ দেখা দেয়৷ সে বিদ্রোহে সে বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ সেনা কর্মকর্তা৷ রক্তাক্ত সেই বিদ্রোহে বেসামরিক ব্যক্তিসহ মোট ৭৪ জন প্রাণ হারান৷
বিডিআরে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলার বিচার বাহিনীর নিজস্ব আদালতে শেষ হয় এবং ছয় হাজার জওয়ানের কারাদণ্ড হয়৷
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাই কোর্ট যাদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে এবং মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাদের যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে, তারা আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল করতে পারবেন৷
সুপ্রিম কোর্ট রুলস অনুযায়ী হাই কোর্টের রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ করার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করতে হয় সেই সময় বহু আগেই পেরিয়ে গেছে৷
পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা যেমন পুরো বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল, এক মামলায় এত আসামির সর্বোচ্চ সাজার আদেশও ছিল নজিরবিহীন৷ওই ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে বিচারিক আদালত ও হাই কোর্টে হত্যা মামলার রায় হলেও ১২ বছরেও শেষ হয়নি বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার বিচার৷
এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)