‘পাশে আছি’ জানালো জার্মানি
১৮ জানুয়ারি ২০১৯‘‘ইউরোপিয়ান হিসাবে আমাদের জীবনযাত্রার অপরিহার্য অঙ্গ তোমাদের মতো অসংখ্য ব্রিটিশ নাগরিক ও তাদের সংস্কৃতি৷ আমরা তোমাদের মিস করব৷’’ এই বাক্যটি সাম্প্রতিক একটি চিঠি থেকে নেওয়া৷ ‘টাইমস’ পত্রিকার ব্রিটিশ সংস্করণে প্রকাশিত চিঠিটি লিখেছেন জার্মানির একদল রাজনীতিক, অ্যাথলিট, ব্যবসায়ী ও সেলিব্রেটি৷
এর মধ্যে রয়েছেন জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দল (এসপিডি), খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল (সিডিইউ) ও সবুজ দলের নেতা, বিখ্যাত জার্মান সংস্থা ডাইমলার ও এয়ারবাসের কর্মকর্তা ও সংগীতশিল্পী কাম্পিনো'র মতো ‘সেলিব্রেটি’ ব্যক্তিত্বরা৷
আসন্ন ‘ব্রেক্সিট’-এর ফলে ব্রিটিশদের অনেক কিছুই ইউরোপিয়ানদের থেকে দূরে সরে যাবে৷ এই যুক্তিকে সামনে রেখেই চিঠিতে তুলে ধরা হয় ব্রিটেনের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রের কথা, যা ছাড়া ইউরোপ অনেকটাই ম্লান৷ ব্রিটিশ কৌতুকের মজা, সন্ধ্যে হলে পাবে গিয়ে ‘এল' পান করার অভ্যেস বা দুধ দিয়ে চা– এসবই এতদিন ছিল ইউরোপীয় জীবনযাত্রার অঙ্গ৷ কিন্তু ব্রেক্সিটের ফলে বদলাতে পারে এই ধারণা৷
কিন্তু এই চিঠিতে যে শুধু আবেগের কথা রয়েছে, তা নয়, উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বার্তাও৷
ব্রিটেন ও ইউরোপ: ইতিহাসের সঙ্গী
ইউরোপের ঐতিহাসিক গঠনের পেছনে ব্রিটেনের অবদানকে স্বীকার করে এবং ধন্যবাদ জানায় এই চিঠি৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে একটি নতুন জার্মানি গড়ে ওঠার সময় যুক্তরাজ্য যেভাবে পাশে থেকেছে, তা ভুলে যায়নি জার্মানি, এমনটাই জানান চিঠির লেখকরা৷
তাঁরা জানান, ‘‘ইউরোপীয় বলতে আমরা আজ যা বুঝি, সেসবের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ব্রিটেন৷ ফলে ব্রেক্সিটের প্রেক্ষিতে তাদের সিদ্ধান্তের স্বাধীনতাকে আঘাত না করলেও, ইউরোপে ব্রিটেনের অভাব অপূরণীয় হয়ে থাকবে৷’’
ব্রিটেনের লেবার পার্টির মন্ত্রী অ্যান্ড্রু অ্যাডোনিস, যিনি তাঁর ইউরোপ-ঘেঁষা চিন্তার কারণে পরিচিত, তাঁর টুইটে এই চিঠিকে বাহবা জানান৷ এই চিঠিকে ‘টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর জীবদ্দশায় দেখা সর্বকালের সেরা চিঠির আখ্যা দেন অ্যান্ড্রু৷
বেন নাইট/এসএস