1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ছত্রাকের জীবনরহস্য উম্মোচন

২০ সেপ্টেম্বর ২০১২

২০১০ সালে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচন করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম৷ এবার তাঁর দলের আবিষ্কার ক্ষতিকারক ছত্রাকের জীবন রহস্য৷

https://p.dw.com/p/16Bye
A Bangladeshi farmar plants rice saplings in his paddy field at Demra near Dhaka city, Thursday 19 August 2004. In this field standing crops were damaged by flood recently. 43 districts of the country were flooded where crops were damaged by devestating floods recently. Foto: MUFTY MUNIR Schlagworte Landwirtschaft, Hochwasser, Agrar, Felder, Pflanzen, Feldbestellung, reis, einsetzen, einpflanzen
ছবি: picture-alliance/dpa

বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা আবারো সাড়া জাগিয়েছেন৷ পাটসহ পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদের বিধ্বংসী রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের জীবনরহস্য আবিষ্কার করেছেন তাঁরা৷ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় সংসদে গর্বের সঙ্গেই জানান সেকথা৷ বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘এত দিন বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে তাদের উদ্ভাবনগুলো নিয়েছে, এখন বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাসী জ্ঞান নেবে৷ এটি একটি বিরাট অর্জন৷ বাংলাদেশ যে বিশ্বকে দিতে পারে, সেটা আজ প্রমাণিত হলো৷''

বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভোবনের ফলে পাটসহ ৫০০ প্রজাতির উদ্ভিদকে ক্ষতিকর ছত্রাকের হাত থেকে রক্ষা সম্ভব হবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷ শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেন, ‘‘পাঁচ সদস্যের একটি বিজ্ঞানী দল এই ছত্রাকের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন৷ আর বিজ্ঞানী দলের নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যাপক মাকসুদুল আলম৷''

বাংলা উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ‘ড. মাকসুদুল আলম একজন জিনতত্ত্ববিদ৷ তাঁর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডাটাসফটের একদল উদ্যমী গবেষকের যৌথ প্রচেষ্টায় ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সফলভাবে উন্মোচিত হয় পাটের জিন নকশা৷'

এদিকে, ছত্রাকের জীবন রহস্য উন্মোচনের পর দৈনিক প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক মাকসুদুল আলম জানান, ‘‘জেনোম গবেষণা অন্য আর দশটা গবেষণার মতো নয়, এটি একটু ভিন্ন ধরনের৷''

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘আমরা পাঁচ বছরের কাজ এক বছরে শেষ করে এনেছি৷ আপনি যদি সূত্রটা একবার ধরে ফেলতে পারেন, তা হলে বাকি কাজগুলো অনেক সহজ হয়ে যায়৷''

মাকসুদুল আলমের মতে, ‘‘এ ধরনের গবেষণার জন্য ‘কঠোর গোপনীয়তা' রাখা বাঞ্ছনীয়৷ আমরা সফলতার সঙ্গে তা করতে পেরেছি৷''

উল্লেখ্য, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই বিজ্ঞানীর৷ কাজের এসব অভিজ্ঞতা তিনি এখন নিজের দেশের জন্য কাজে লাগাতে চান৷ দৈনিক প্রথম আলোকে এই বিষয়ে মাকসুদুল বলেন, ‘‘আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতাগুলো অর্জন করেছি তার নির্যাস আমি আমার মাতৃভূমিকে দিতে চাই৷ আমি যে গবেষক দল তৈরি করেছি তাদের নিয়ে আমি আরও নতুন নতুন গবেষণা ও গবেষক তৈরি করতে চাই৷''

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য