পশ্চিমের তুলনায় আফ্রিকায় খাবারের মেন্যুতে থাকে সুষম বণ্টন
১১ আগস্ট ২০১০পশ্চিমা খাবার বা ফাস্ট ফুড, অনেক ক্ষেত্রেই পাকস্থলীর রোগ এবং অ্যালার্জি বা পেটের সমস্যার জন্যে দায়ী৷ আর আফ্রিকার বিভিন্ন সমাজের তুলনায় উন্নত বিশ্বের সমাজেই এই সমস্যা দেখা যায় বেশি৷ নতুন এক গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গবেষকরা বলছেন, আফ্রিকায় খাবারের মেন্যুর মধ্যে থাকে সুষম বণ্টন, যা পশ্চিমা দেশগুলোতে দেখা যায় না৷ জানেন তো নিশ্চই, খাবার হজম হবার জন্যে আমাদের পরিপাকতন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়ারও কিছুটা প্রয়োজন হয়৷ তবে প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়ার কিছুটা অর্থাৎ ডাক্তারি ভাষায় যেটিকে বলে প্যাথোজেন ব্যাকটেরিয়া, যা ক্ষতিকারক নয়, সেটি খাবার থেকেও আসতে পারে৷ আর সেটির সুষম মিশ্রণ ঘটে আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সমাজে, তৈরি খাবারে৷
এই ব্যাকটেরিয়া খাবার হজম হতে সহায়তা করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক শক্তি এবং আমাদের হজম শক্তিকে শক্তিশালী করে৷ সম্প্রতি ইটালির ফ্লোরেন্সে, মেয়ার চিলড্রেন হাসপাতালের, পাউলো লিয়োনেট্রির তত্বাবধানে একদল বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চলের বুরকিনা ফাসোর একটি গ্রামের শিশুরা সেখানকার তৈরি খাবার খেয়ে যতটা সুস্থ ইটালির শিশুরা ঠিক ততখানি সুস্থ নয়৷
ঐ গবেষণায় দেখা গেছে, আফ্রিকার শিশুরা কম ফ্যাট কিন্তু আঁশযুক্ত, সবজি সমৃদ্ধ খাবার খাচ্ছে৷ অন্যদিকে ইটালির শিশুরা খাচ্ছে টিপিক্যাল পশ্চিমা খাবার, কম আঁশযুক্ত কিন্তু প্রাণীর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার৷ সাথে স্যুগার এবং ফ্যাট৷ গবেষকরা দেখেছেন, বুরকিনা ফাসোর শিশুরা যে খাবার খাচ্ছে, তার থেকে শিশুর দেহে তৈরি হওয়া ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুকে শক্তি জোগাচ্ছে৷ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, এই ফ্যাটি অ্যাসিডই রোগ প্রতিরোধক শক্তি তৈরি করছে৷
পাউলো লিয়োনেট্রির মতে, পশ্চিমের দেশগুলোতে বসবাসরত মানুষ যদি তাদের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে বুরকিনা ফাসোর খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্থ হয়, তাহলে তারা লাভবান হবেন৷ তিনি বলেন, আর এর মধ্যে দিয়েই আমরা আমাদের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি করতে পারি৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ