1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ‘মুসলিম ভোটার'দের গুরুত্ব

৬ এপ্রিল ২০১১

গত ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টকে সরিয়ে বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের এবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা প্রবল৷ শোনা যাচ্ছে, রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম ভোটাররা সেক্ষেত্রে এক নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে চলেছেন৷

https://p.dw.com/p/10o2p
দুই শিবিরের কাছেই ‘মুসলিম ভোটার'রা গুরুত্বপূর্ণছবি: AP

শতকরার হিসেবে জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ মুসলিম৷ এতদিন এঁদের অধিকাংশ নিশ্চিতভাবেই বাম সমর্থক ছিলেন৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, বামফ্রন্ট সরকার এঁদের বঞ্চিতই রেখেছে চিরকাল৷ প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে সাচার কমিটির রিপোর্ট বা রঙ্গনাথ মিশ্র কমিশনের সুপারিশকে৷ যেখানে কার্যত স্বীকারই করা হচ্ছে যে ভারত তার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকার সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় যথেষ্ট যত্নবান ছিল না৷ পশ্চিমবঙ্গও তার ব্যতিক্রম নয়৷ ফলে গণবিতর্কের আসরে এ নিয়ে অস্বস্তিকর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে৷

Mamta Banerjee
মমতার নজর সংখ্যালঘু ভোটের দিকেছবি: DW

কিন্তু তাহলে কেন বিরোধীরা এত জোর দিয়ে বলছেন যে সংখ্যালঘু সমাজ এবার তাদের সমর্থন করবে? ডয়চে ভেলের এই প্রশ্নের জবাবে এক ধরণের ব্যাখা দিয়েছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুস সাত্তার৷ রীতিমত পরিসংখ্যান তুলে ধরে দাবি করেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে এতটাই সচেষ্ট ছিল বামফ্রন্ট যে বিরোধীদের অপপ্রচারের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া গতি নেই৷

তা হলে কি উল্টোটাই ঘটছে? সাচার কমিটির রিপোর্টের কথা তুলে স্রেফ নির্বাচনী ফায়দা লুটতে রাজ্যের সংখ্যালঘু সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করছে বিরোধীরা? আবদুস সাত্তার মনে করিয়ে দিলেন, এই তৃণমূল কংগ্রেসই কিন্তু রাজ্যে বিজেপিকে জায়গা করে দিয়েছিল৷ এখনও কট্টর আরএসএস বলে চিহ্নিত লোকেদের দলে জায়গা দিয়ে, ভোটে প্রার্থী করে ফের খাল কেটে কুমির আনছেন৷

Wahlen Westbengalen Indien Unterstützer der Kommunistischen Partei Indiens mit Schirmen auf denen Hammer und Sichel gedruckt sind
৩৪ বছরের শাসনের পর অনিশ্চয়তার মুখে বামফ্রন্টছবি: AP

তা হলে বহু আকাঙ্খিত পরিবর্তন কি ভালর দিকে হচ্ছে না? এবার জবাবে রীতিমত আক্রমণাত্মক বামফ্রন্ট সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী৷ তিনি দাবি করছেন, রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষ, বিশেষত তরুণ মুসলিমরা, যাঁরা হয়তো তৃণমূলকে সমর্থন জোগাতেন, তাঁরা এখন ভুল বুঝতে পারছেন৷ ফের এসে দাঁড়াচ্ছেন বামফ্রন্টেরই পাশে৷ কাজেই তথাকথিত পরিবর্তনে যে তাঁরা শরিক হবেন, এমন আশা করাটা মস্ত বড় রাজনৈতিক ভুল হবে৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন