জাতিগত দাঙ্গা
২২ আগস্ট ২০১২শিলিগুড়ির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নবেন্দু গুহ বলেন, আসাম থেকে চলে আসা মানুষগের জন্য আলিপুর দুয়ারের কাছে মমিনপুর বলে একটা জায়গা আছে৷ আর সেখানকারই একটি মসজিদ ও তার আশেপাশের এলাকায় একটা আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে৷ সেখানে গত মাসের ২২-২৩ তারিখের দিকে ১,৩০০ মতো লোক আশ্রয় নিয়েছিল৷ এদের মধ্যে চারশো'র মতো শিশু রয়েছে৷ তবে ইতিমধ্যেই প্রায় দুইশোর মতো শরণার্থী ঐ শিবির ছেড়ে চলে গেছেন৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে এসব শরণার্থীদের দুই বেলা খাবারের ব্যবস্থা করা সহ কাপড়-চোপড় দেয়া হচ্ছে৷ শিশুদের জন্য দেয়া হচ্ছে শিশুখাদ্য৷ এছাড়া সেখানে একটি অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্রও খোলা হয়েছে৷ প্রতিদিন দু'জন করে চিকিৎসক সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানান গুহ৷
আলিপুরের স্থানীয় মানুষজনও শরণার্থীদের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সহায়তা করছে৷ সরকারের আগে অবশ্য স্থানীয়রাই শরণার্থীদের দেখভাল করছিল৷ তাদের অন্নের ব্যবস্থাও করেছিল তারা৷
এছাড়া শিলিগুড়িতে প্রায় একশোর কিছু বেশি মানুষ তাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে৷ তবে প্রথম দিকের বেশ কয়েক দিন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছিল সরকার৷
নবেন্দু গুহ বলেন, শরণার্থীরা যতদিন না তাদের ঘরে ফিরে যেতে পারছেন ততদিনই পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাদের সহায়তা করে যাবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী গৌতম দেব৷
সাক্ষাৎকার: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ