পর্যটকদের আকর্ষণ পূর্ব ইউরোপের দেশ লাটভিয়া
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ইদানীং মধ্য ও পূর্ব ইউরোপ ভ্রমণে পর্যটকরা দু’বার চিন্তা করছেন৷ তবে অনেক দেশই ভ্রমণের জন্য নিরাপদ৷ যেমন, লাটভিয়া৷
রিগা: অপূর্ব নগরী
ইউরোপীয় মান হিসেব করলে ছয় লাখ জনসংখ্যার শহর রিগাকে রাজধানী হিসেবে ছোট মনে হতে পারে৷ তবে বাল্টিক দেশগুলোর হিসেবে এটি একটি মহানগরী৷ শহরের কেন্দ্রটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে চিহ্নিত৷ কারণ, এখানে অনেক ঐতিহাসিক ভবন রয়েছে৷ রিগার কেন্দ্রীয় বাজারটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়৷
নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর
রিগার পূর্ব দিকে শহরতলীতে রয়েছে লাটভিয়ার বিখ্যাত নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর৷ ইউরোপে খোলা আকাশের নীচে এটাই সর্ববৃহৎ এ ধরনের জাদুঘর৷ এখানে এই অঞ্চলের মানুষের শত শত বছরের ইতিহাস জানার সুযোগ রয়েছে৷
গাউজা ন্যাশনাল পার্ক
৯০ হাজার হেক্টরের এই সবুজ উদ্যানে যেমন দেখা মিলবে অসাধারণ সব প্রাকৃতিক দৃশ্যের, তেমনি পাথুরে পথ ও গুহার সমন্বয় পর্যটকদের দেবে অপার আনন্দ৷ হাইকিং, বোটিং ও শীতকালে স্নোবোর্ডিংয়ের জন্য একটা আদর্শ জায়গা৷
জুরমালা
উপকূলীয় শহর জুর্মালা রাজধানী থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত৷ বালুময় সৈকতে খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো, কিংবা সমুদ্রে গোসল করা এখানে আসা পর্যটকদের আকর্ষণ৷ এছাড়া ১৯ ও ২০ শতকের কাঠের বাড়িগুলো এখানকার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে তুলেছে৷
কুলডিগা
লাটভিয়ার আসল স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে কুলডিগা৷ ছোট্ট এক শহর৷ পর্যটকদের আনাগোনা এখানে কম৷ ১৭ থেকে ১৯ শতকের চমৎকার সব বাড়ি শহরটির মূল বৈশিষ্ট্য৷ এটি ঐতিহাসিক শহরও৷ ১২শ’ শতকে শহরটি হানসিয়াটিক লিগে যুক্ত হয়েছিল৷ পরে পোলিশ-লিথুয়ানিয়ান ও এরপর রাশিয়ার অধীন ছিল৷
উত্তরের দুর্গ
লাটভিয়ার পশ্চিম উপকূলে গেলে দেখা যাবে রাশিয়ার জার সাম্রাজ্যের স্মৃতিচিহ্ন৷ লিয়েপায়া শহরে ২০ শতকের গোড়ার দিকে এই দুর্গগুলো তৈরি করা হয়৷ কিন্তু তার কয়েক বছর পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়৷
রুন্ডাল ক্যাসল
লাটভিয়ার দক্ষিণের এই দুর্গ ১৮শতকের তৈরি৷ বাল্টিক অঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণ এই দুর্গ৷ ফ্রান্সের ভার্সাই প্যালেসের মডেলে তৈরি এই স্থাপনা৷
রাই ব্রেড
লাটভিয়ার খাবারও পর্যটকদের কাছে প্রিয়৷ অনেক লাটভিয়ান ডিশে অবশ্য রুশ বা জার্মান প্রভাব রয়েছে৷ তবে একেবারে নিজেদের খাবার হলো রাই থেকে তৈরি রুটি৷