ইউরো ২০১২
২৮ জুন ২০১২
দুর্ভাগ্যই বলতে হবে পর্তুগিজদের৷ কেননা আন্ডারডগ হিসেবে খেলতে নেমেও ইউরো আর বিশ্বের সেরা দল স্পেনকে ভালভাবেই মোকাবিলা করেছে তারা৷ প্রথম ৯০ মিনিট আর অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে পুরো ১২০ মিনিট খেলা গোলশূন্য ছিল৷
এসময় দুই দলই ভাল কিছু সুযোগ পেয়েছিল৷ কিন্তু সফল হতে পারেনি৷ স্পেনের জন্য সবচেয়ে ভাল সুযোগ এসেছিল খেলার অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে৷ সেসময় ইনিয়েস্তা অল্প দূরে থাকা পর্তুগিজ গোলরক্ষক রুই পেট্রিসিয়োকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন৷ পুরো খেলাতেই স্পেনের সমর্থকরা ডাভিড ভিয়ার না থাকাটা অনুভব করেছে৷
পর্তুগালের পক্ষে তারকা খেলোয়াড় রোনাল্ডো ৯০ মিনিটের সময় একটি সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন৷ এসময় স্প্যানিশ গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসকে একা পেয়েও গোলবারের উপর দিয়ে বল মারেন তিনি৷
টাইব্রেকারে ক্যাসিয়াস স্পেনের প্রথম শটটি রুখে দেন৷ আর পর্তুগালের ব্রুনো আলভেসের নেয়া চতুর্থ শটটি বারে লেগে ফিরে আসে৷ পর্তুগিজ গোলরক্ষকও স্পেনের প্রথম শটটি প্রতিহত করেছিলেন৷
এই জয়ের ফলে স্পেনের সামনে ইতিহাস তৈরির একটি সুযোগ চলে এলো৷ রবিবারের ফাইনালে যদি তারা জিততে পারে তাহলে ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে তারা পরপর তিনটি উল্লেখযোগ্য টুর্নামেন্ট জেতার রেকর্ড করতে পারবে৷ কেননা তারা ২০০৮ সালের ইউরো ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন৷ এছাড়া ১৯৭৬ সালের পর স্পেনই প্রথম দল যারা ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে উঠলো৷ ১৯৭৬ সালে প্রথম দল হিসেবে পশ্চিম জার্মানি ঐ রেকর্ডটি করেছিল৷ অবশ্য ফাইনালে তারা টাইব্রেকারে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে হেরে যায়৷
এদিকে এই হারের কারণে পর্তুগাল ২০০৪ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হল৷ ২০০৪ সালে নিজেদের দেশে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউরোর ফাইনালে গ্রিসের কাছে হেরে গিয়েছিল পর্তুগিজরা৷
রবিবারের ফাইনালে স্পেনের প্রতিপক্ষ নির্ধারিত হবে আজ৷ জার্মানি আর ইটালির মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে পোল্যান্ডের ওয়ারশ'তে৷ স্পেন এ পর্যন্ত দুইবার ইউরোর সেরা হয়েছে৷ আর জার্মানি সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইউরোতে৷
জেডএইচ / এসবি (ডিপিএ)