পরিবেশগত অপরাধ দমনে আইন করছে ইইউ
১৭ অক্টোবর ২০২২পরিবেশগত অপরাধের মধ্যে আছে বন্যপ্রাণীর অবৈধ বেচাকেনা, দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বন ও বিভিন্ন সংরক্ষিত এলাকা থেকে গাছ কেটে কাঠ ব্যবসা, অবৈধ পন্থা ব্যবহার করে ময়লা অপসারণ এবং পরিবেশ, পানি কিংবা মাটিতে দূষিত উপাদান ছড়িয়ে দেয়া৷
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাসা ব্রাউন সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘পরিবেশগত অপরাধের নিষ্ঠুরতা ও লাভের পরিমাণ অচিন্ত্যনীয়৷'' কিন্তু এটাকে এখনও ছোট অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানান তিনি৷ অথচ এটা ‘আমাদের ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে অপরাধ' বলে মনে করেন তিনি৷
ব্রাউন বলেন, বড় অপরাধ তদন্তের যেসব কৌশল আছে সেগুলো ব্যবহার করে পরিবেশগত অপরাধের তদন্ত হওয়া উচিত৷ যেমন ছদ্মবেশ ধরে তদন্ত করা, ফোনে আড়িপাতা, জিপিএস ট্র্যাকিং ইত্যাদি৷
ইইউর পরিবেশ কমিশনার ভিরজিনিয়ুস সিঙ্কেভিচুস গতবছর বলেছিলেন, ‘‘ইউরোপে পরিবেশগত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের প্রায়সময়ই শাস্তি পেতে হয় না৷ এ সম্পর্কিত আইন প্রয়োগের জন্য প্রণোদনাও খুব কম৷''
এমন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে একটি আইনের প্রস্তাব করেন তিনি৷ আগামী বছরের মাঝামাঝি সেটি কার্যকর হতে পারে৷
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড ডাব্লিউডাব্লিউএফ-এর জার্মান শাখার কর্মকর্তা ক্যাথেরিনা লাঙ জানান, ক্রেতাদের পক্ষে তাদের কেনা পণ্যে ব্যবহত কাঠ অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ করা হয়েছে কিনা, জানা সম্ভব নয়৷ কারণ কাঠের গায়ে যে দেশের নাম লেখা থাকে সেটি অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়া বলে অতীতে পরীক্ষা করে দেখিয়েছে ডাব্লিউডাব্লিউএফ জার্মানি৷
জেনেটিক ও আইসোটপিক ফিঙ্গারপ্রিন্টিং পরীক্ষা করে ডাব্লিউডাব্লিউএফ জার্মানি দেখিয়েছে যে, কোনো কাঠ ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলা হলেও আসলে সেটি ছিল নিম্নমানের কাঠ৷
বেটিনা স্টেহক্যাম্পার/জেডএইচ