1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তি

২০ নভেম্বর ২০১৯

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটে বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ৷

https://p.dw.com/p/3TONa
ফাইল ছবিছবি: bdnews24.com

পরিবহন শ্রমিকদের স্বেচ্ছা কর্মবিরতিতে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরের বেশ কিছু জেলায় গত দু'দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে৷ বুধবার সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কেও দূরপাল্লার বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ বুধবার সকাল থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ধর্মঘট৷

সড়কে এই অচলাবস্থা কাটাতে ধর্মঘটে থাকা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে ধর্মঘটের অবসান হবে বলে সরকারি দলের নেতারা আশা করছেন৷

তবে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মো. রুস্তম আলী খান বুধবার সকালে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘দেশজুড়ে তাদের কর্মবিরতি চলছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে৷ গতকাল (মঙ্গলবার) আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করার পর রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটা বৈঠক হয়েছিল৷ কিন্তু সেখানে দাবি পূরণে কোনো আশ্বাস পাইনি, এজন্য কর্মবিরতি চলছে, এটা চলবে৷’’

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম৷ তিনি বলেন, ‘‘ট্রাক শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে বাস চলাচলে বাধা দিচ্ছে৷ বাস শ্রমিকরাও সড়ক আইনের বিরোধিতা করছেন, তারা কাজ করছেন না৷’’

যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে কুমিল্লার আলেখারচরে ট্রাক শ্রমিকরা বাসের হেলপার, চালকদের মারধর করছে এবং গাড়ি আটকে রাখছে বলে জানান আবুল কালাম৷ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়ার পথে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, মদনপুর ও ডেমরায় বাস আটকে দেওয়া হচ্ছে৷

শাস্তির মাত্রা বাড়িয়ে নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের শুরু থেকে তার বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা৷ সোমবার থেকে আইনটি কার্যকর করার পর কোনো চাপে পিছু হটবেন না বলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষণা দেন৷ তা সত্ত্বেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা দৃশ্যত চাপ বাড়িয়ে দেন৷

আবুল কালাম বলেন, ‘‘সড়ক পবিরহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় শিথিল হতে বললেও তা হচ্ছে না৷ এ কারণে বাস চালক-শ্রমিকরাও আতঙ্কিত, তারা বাস চালাচ্ছে না৷’’

বুধবার মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ি না ছাড়লেও শত শত যাত্রী কাউন্টারের সামনে বা রাস্তার ধারে অপেক্ষা করছেন৷ তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন৷

অনেকেই হঠাৎ করে পরিবহন ধর্মঘট হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন৷ বুধবার ঢাকার মিরপুরে কয়েকটি বাস ভাংচুর করেছেন ধর্মঘটী শ্রমিকরা৷ এছাড়া বিআরটিসি বাসের একজন চালক ও যাত্রীকে মারধর করেছেন তারা৷

এসআই/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

গত এপ্রিল মাসের ছবিঘরটি দেখুন...