‘পরমাণু বিতর্ক বৈঠকে তোলা যাবে না’- তেহরান
২১ জানুয়ারি ২০১১আলোচনা শুরুর আগেই মূল বিষয়ে চাপ দিল ইরান
আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ এবং জার্মানি ইরানের সঙ্গে এই ইস্তানবুল বৈঠকের দিকে বেশ প্রত্যাশা নিয়েই তাকিয়ে ছিল৷ কিন্তু, আজ শুক্রবার আলোচনা শুরুর আগেই তেহরানের তরফে একটি বিবৃতি প্রচার করা হয়, যার বক্তব্য, এই বৈঠকে ইরানের পরমাণু পরিকল্পনা চালু রাখতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিয়ে কোন কথা তোলা চলবে না৷
এর নেপথ্যে ইরানের যুক্তি
ইরানের পারমাণবিক বিষয়ে মুখ্য মধ্যস্থতাকারী সাইদ জালিলির সহকারী আবোলফাজি জোহরেভান্ড আজ সকালে ইস্তানবুলে ইরানি ডেলিগেটদের নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এসে জানিয়ে যান, শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক পরিকল্পনা বজায় রাখা ইরানের নৈতিক অধিকার৷ সেখান থেকে বিচ্যুত হওয়ার কোন প্রশ্নই উঠছে না৷ সেক্ষেত্রে এই দু'দিনের বৈঠকে যদি ঘুণাক্ষরেও ইরানের ওপর তাদের ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা নিয়ে কোনরকমের চাপ সৃষ্টি করা হয়, সে প্রসঙ্গ মেনে নেবে না তেহরান৷ যার খোলা অর্থ, বৈঠকে এই বিষয়টিকে তুলতেই রাজি নয় ইরান৷
কী হল প্রথমদিনের বৈঠকে
বৈঠকের প্রথমার্দ্ধে ছয় প্রধান শক্তির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইরানের পক্ষে সাইদ জালিলি এবং তাঁর সহচরদের আলোচনা হয়েছে৷ যে আলোচনায় ইরানের যুক্তি ছিল, তাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক পরিকল্পনার ওপর থেকে আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত৷ সন্ধ্যার দিকে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে জালিলি আলাদা করে বৈঠক করবেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ প্রসঙ্গত, ফ্রান্স, ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া ছাড়াও এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছে জার্মানিও৷ বৈঠকে ইউরোপের তরফে প্রতিনিধিত্ব করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথারিন অ্যাশটন৷ এখানে উল্লেখ্য, আজ একটি প্রথমসারির ইসরায়েলি দৈনিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল আলিও মারি জানিয়েছেন, ইরান যেভাবে তাদের পারমাণবিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তা এক মস্তবড় হুমকি৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন