পরমাণু প্রযুক্তি সরবরাহে ভারতকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র
৩০ জুন ২০১১২০০৬ সালে ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তি যাতে ইতিবাচক পথে অগ্রসর হতে পারে, এই বিবেচনায় ৪৬টি রাষ্ট্রের পরমাণু সরঞ্জাম সরবরাহকারী গোষ্ঠী এনএসজি ভারতকে বিশেষ ছাড় দেবার আশ্বাস দিয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জোরালো সমর্থন দেবে ভারতকে এবং সেবিষয়ে তদ্বির করবে৷ ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তির ১২৩ ধারায় এবিষয়ে ভারতের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের কথা বলা হয়েছে৷
ভারতে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত রোমার টিমোথি আজ নতুনদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আশা করা যায় এনএসজি বিনাশর্তে উচ্চ পরমাণু প্রযুক্তি সবরাহের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ছাড় দেবে ভারতকে৷
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত এনএসজির বৈঠকে পরমাণু সমৃদ্ধকরণ ও পুনপ্রক্রিয়াকরণ সংক্ষেপে ইএনআর প্রযুক্তি হস্তান্তরের নিয়মবিধি আরো কঠোর করার সুপারিশ করা হয়৷ বলা হয় ভারতকে এক্ষেত্রে ছাড় পেতে হলে পরমাণু দুর্ঘটনা সংক্রান্ত পরিপূরক ক্ষতিপূরণ কনভেনশন অনুমোদন করতে হবে এবং সই করতে হবে পরমাণু অস্ত্র প্রসার রোধ চুক্তি এনপিটিতে৷ অথচ ২০০৮সালে ভারতের সঙ্গে পরমাণু বাণিজ্য যাতে বিনা বাধায় হয় তার জন্য পরমাণু সরবরাহকারী দেশ গোষ্ঠী ভারতকে সে সময় বিশেষ ছাড় দিতে রাজি হয়েছিল৷
নতুন পরিস্থিতিতে ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তির ওপর তার বিরূপ প্রভাব নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন৷ এনএসজির সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারত বলেছে, পরমাণু দুর্ঘটনা সংক্রান্ত পরিপূরক ক্ষতিপূরণ কনভেনশন অনুমোদনের কথা ভারত আগেই ঘোষণা করেছে৷এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলেছেন, বেসামরিক পরমাণু প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রণী দুটি দেশ ফ্রান্স ও রাশিয়া ভারতের সঙ্গে তাদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি রূপায়নে অবিচল থাকবে৷ ফ্রান্স ও রাশিয়া বলেছে, কিছু সদস্য দেশ এনপিটিতে সই করার জন্য ভারতকে চাপ দিতে চাইছে কিন্তু ফ্রান্স ও রাশিয়া তাতে কান দেবেনা৷ পরমাণু বাণিজ্যের জন্য তারা তৈরি৷ জাপানের মনোভাবও ইতিবাচক৷
বিশ্লেষকদের ধারণা, হালে ১১হাজার কোটি ডলারের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সরবরাহের বরাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে না দিয়ে ফ্রান্স-জার্মান ইওরো কোম্পানিকে দেয়ার সম্ভাব্য ফল এটা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক