পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত করেছে উত্তর কোরিয়া
২১ এপ্রিল ২০১৮উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে এ কথা৷বার্তা সংস্থাটির মতে, এই ঘোষণা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে, এবং এর মধ্য দিয়ে পারমাণবিক অস্ত্র কমিয়ে আনা ও এর ব্যবহার থেকে বিরত থাকার বিশ্বব্যাপী যে উদ্যোগ সেখানে উত্তর কোরিয়াও যুক্ত হলো৷
ঘোষণায় কিম বলেন, গত জানুয়ারিতে যখন যতটা পরমাণু শক্তি অর্জন করা প্রয়োজন ততটা করা হয়ে গেছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন, তখনই কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির সুবাতাস বইতে শুরু করেছিল৷
তিনি বলেন যে, আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রয়োজন হবে না৷
তবে যে পরমাণু শক্তি অর্জন করেছে উত্তর কোরিয়া, যাকে তা কমিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা, তা নিয়ে কিছুই বলেননি কিম৷
ঘোষণার পর টুইট বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘উত্তর কোরিয়া ও বিশ্বের জন্য সুখবর এটি৷''
এটাকে একটা ‘বড় অগ্রগতি' বলে উল্লেখ করে তিনি লেখেন যে, কিমের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছেন তিনি৷
এদিকে, জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ'র কাছে উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ হার্টমুট কোসচিক বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনার আগে উত্তর কোরিয়া তাদের অবস্থান পোক্ত করে নিয়েছে৷
‘‘কয়েকটি সফল পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে কিম তাঁর জায়গা এতটাই পোক্ত করে ফেলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিনি শান্তি আলোচনায় সমান সমান লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন৷''
কিমের এই ঘোষণাকে সাধুবাদ জানিয়েছে চীনও৷ তারা জানিয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু শক্তি কমিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করবে তারা৷
দক্ষিণ কোরিয়া এই ঘোষণাকে কোরীয় উপদ্বীপকে ‘পরমাণু অস্ত্রমুক্ত' করার ক্ষেত্রে ‘অর্থপূর্ণ অগ্রগতি' বলে চিহ্নিত করেছে৷
এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে যে, আন্তঃকোরীয় ও উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্মেলনকে সামনে রেখে তাদের এই উদ্যোগ খুব ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে৷
জাপান অবশ্য একটু সতর্কভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে৷ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেছেন, ‘‘আমরা উত্তর কোরিয়ার ঘোষণাকে সাধুবাদ জানাই৷ তবে আমাদের দেখতে হবে সত্যিকারভাবে কী উপায়ে পরমাণু অস্ত্র কমিয়ে আনা যায়৷''
আগামী শুক্রবার ঐতিহাসিক আন্ত:কোরীয় শীর্ষ বৈঠক৷ এ বৈঠকে ১৯৫৩ সালে শেষ হওয়া কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তির জন্য একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হবার কথা৷ এছাড়া উপকূলকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার বিষয়েও আলোচনা হবার কথা রয়েছে৷
এছাড়া আগামী জুনে কিম ও ট্রাম্পের বৈঠক হবার কথা রয়েছে৷
জেডএ/ডিজি (ডিপিএ)