পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা: নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেন পুটিন
৩ নভেম্বর ২০২৩মস্কোর দাবি, এই আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করার ক্ষেত্রে অ্যামেরিকা টালবাহানা করছে। সেজন্যই তারা এই আন্তর্জাতিক চুক্তি থেকে সরে এলো। গত মাসে রাশিয়ার পার্লামেন্ট এই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছিল।
পুটিনের দাবি, রাশিয়ার এই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত আসলে অ্যামেরিকার সামনে আয়না ধরার মতো।
কম্প্রিহেনসিভ টেস্ট ব্যান ট্রিটি(সিটিবিটি) ১৯৯৬ সালে গ্রহণ করা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছিল, নতুন করে আর পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করা যাবে না। কিন্তু অ্যামেরিকা এই চুক্তি অনুমোদন করেনি। তবে তারা চুক্তি বাস্তবে মেনে চলেছে।
এছাড়া চীন, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, মিশর, উত্তর কোরিয়া, ইরানও এই চুক্তি অনুমোদন করেনি।
পুটিনের দাবি, কিছু বিশেষজ্ঞ পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করতে চাইছেন। কিন্তু তিনি এখনো কোনো মতামত দেননি বা সিদ্ধান্ত নেননি।
তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্য়ামেরিকা নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা না করলে রাশিয়াও করবে না।
ইউক্রেনের দাবি অস্বীকার
ইউক্রেন দাবি করেছিল, যুদ্ধে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সেই দাবি অস্বীকার করে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ জানিয়েছেন, যুদ্ধে অচলাবস্থা দেখা দেয়নি। রাশিয়া তার সামরিক লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে। তাদের সব লক্ষ্যই পূরণ হবে।
রাশিয়া অবশ্য ইউক্রেনে তাদের আগ্রাসনকে 'বিশেষ সামরিক অপারেশন' বলে। পেশকভের দাবি, স্থির ও অবিচলিতভাবে রাশিয়া তার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান এর আগে জানিয়েছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধে বেশি কিছু লাভ করতে পারেনি।
আরো নিষেধাজ্ঞা
রাশিয়ার উপর আরো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সাইবেরিয়ায় রাশিয়ার এলএনজি প্রকল্পের উপরে। এই প্রকল্প থেকে বিশ্বের বাজারে রাশিয়া গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।
এছাড়া ড্রোন তৈরি করে এমন একটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বেয়ারবকের আশা
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, তার আশা, আগামী মাসে ইইউ ইউক্রেনের সদস্যপদের বিষয়টি নিয়ে এগোবে।
তিনি বলেছেন, ''আমরা চাই, ইউক্রেন ইইউ-র সদস্য হোক। ইইউ-কে আরো বড় করতে হবে। এটাই হবে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিণতি।''
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুলেবাও বলেছেন, তাদের সদস্যপদ নিয়ে ইইউ-তে আলোচনা এই বছরই শুরু হয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন।
জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)