পদ্মার কারণে ৬০ হাজার হেক্টর এলাকা ভেঙেছে
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮নাসার প্রতিবেদনে ভাঙনের জন্য দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে৷ এক, পদ্মা প্রাকৃতিকভাবে নিজের মতো চলতে পারা একটি নদী, যার তীর বাঁধার তেমন চেষ্টা করা হয়নি৷ শুধু মাঝেমধ্যে বালুর বস্তা ফেলে ঘর-বাড়ি রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে৷ দুই, পদ্মার তীর এলাকায় বালুর পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা সহজে ক্ষয়প্রাপ্ত হতে পেরেছে৷
স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার পর্যবেক্ষকরা পদ্মা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করেছেন৷ নাসার ল্যান্ডস্যাট কর্মসূচির আওতায় থাকা বিভিন্ন স্যাটেলাইট থেকে বছরের পর বছরের পদ্মার ছবি তোলা হয়েছে৷ এরপর ইউটিউবে আপলোড করা এক ভিডিওতে ১৯৮৮ সালের পর থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পদ্মার বিভিন্ন ছবি দেখানো হয়েছে৷
ছবি বিশ্লেষণ করে নাসার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত তিন দশকে পদ্মা একটি সরু ও সোজাসুজি চলা নদী থেকে সর্পিল আকৃতি ধারণ করে অতি সম্প্রতি আবার সোজা চলা নদীতে পরিণত হয়েছে৷
প্রতিবেদনটি জানাচ্ছে, ১৯৯২ সালে পদ্মা প্রথম বাঁক নেয়া শুরু করেছিল৷ এরপর ২০০২ সাল থেকে সেটি কমতে শুরু করে৷ আর এখন সেটি থেমে গেছে৷
চলার পথে বাঁক নেয়ার সময় পদ্মা তার আশেপাশের জমি, ঘরবাড়ি সব ভেঙে নিয়ে গেছে৷ ফলে ঐসময় নদী ভাঙনের ঘটনা বেশি ঘটেছে৷ আর এখন পদ্মা আবার সোজা চলা নদী হয়ে যাওয়ায় ভাঙনের হার একটু কমেছে বলে মনে করছেন নাসার পর্যবেক্ষকরা৷
জেডএইচ/এসিবি (ইউএনবি, নাসা)
২০১৪ সালের ছবঘরটি দেখুন...