পদ্মায় ভাঙন
পদ্মানদীর ভাঙনে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলায় বহু মানুষ তাঁদের বাড়িঘর, ভিটেমাটি, জমিজমা হারিয়ে কয়েকশ মানুষ এখন নিঃস্ব৷ চারিদিকে এখন শুধু জল আর জল, মানুষ এখন দিশেহারা৷ দোহার উপজেলার নদীভাঙনের কিছু চিত্র দেখুন এই ছবিঘরে৷
আতঙ্কে আছেন কয়েক’শ পরিবার
ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে প্রমত্তা পদ্ম নদী৷ গত পনের দিনের ভাঙনে এ উপজেলার মেঘুলা, রানিপুর, নারিশা ও পশ্চিম চর গ্রামের কয়েকশ বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে৷ ভিটেমাটি হারিয়ে এসব মানুষ এখন অনেকটাই নিঃস্ব৷ এখনো আতঙ্কে আছেন আরো কয়েক’শ পরিবার৷
ফিরোজা বেগমের সঙ্গী শুধুই চোখের পানি
রানিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ফিরোজা বেগম৷ এ গ্রামের অস্তিত্ব এখন কেবল মানচিত্রেই৷ পদ্মার মাঝামাঝি জায়গাটা দেখিয়ে ডুকরে কেঁদে ফেললেন এই নারী৷ দশ দিন আগেও নিজের ভিটেমাটি ছিল৷ এখন তিনি নিঃস্ব৷
বিনিদ্র রাত কাটে মিসির আলীর
মেঘুলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ মিসির আলী৷ ভাঙনের চিন্তায় বিনিদ্র রাত কাটে তার, চাষের জমিজমা ইতিমধ্যেই পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে৷ একমাত্র মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও এখন হুমকির মুখে৷
পদ্মাপাড়ের অবুঝ শিশুদের দুরন্তপনা
একদিকে ভাঙন, আরেকদিকে পদ্মাপাড়ের শিশুদের দুরন্তপনা৷ শিশু মন, তাই বোঝারও সাধ্য নেই এই পদ্মার করাল গ্রাসই ভিটেমাটিহীন করেছে তাদের৷ এ ছবিটিও মেঘুলা গ্রামের৷
আতঙ্ক
দোহারের মেঘুলা গ্রামে পদ্মার পাড়ে একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ৷ নদী ভাঙনে গ্রামে গামের পর বিলীন হবার পর কাঠের তৈরি ঘরটিকে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন এর মালিক৷ এখন যে কোনো সময় হয়ত ভেঙে পড়বে বাড়ির জায়গাটুকু৷
খোলা আকাশের নীচে আশ্রয়
ভিটেমাটি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছেন ছালমা আক্তার৷ ভিক্ষা করেও দুই বেলা খাবার দিতে পারছেন না নিজ সন্তানদের৷ এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো সাহায্যও জোটেনি হতভাগ্য এ নারীর কপালে৷
সাহায্যের অপ্রতুলতা
নদী ভাঙনের শিকার অনেকেই অভিযোগ তুললেন সরকারি সাহায্যের অপ্রতুলতার কথা৷ সামান্য যেটুকু সাহায্য এসেছে তার বণ্টনে স্বজন প্রীতির অভিযোগও পাওয়া গেল স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি৷ কোথাও কোথাও নদী ভাঙনে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের বাদ দিয়ে অপেক্ষাকৃত সচ্ছলদেরও সাহায্য দেওয়ার কথা শোনা গেছে৷
বিদ্যুতের লাইনও পদ্মায় বিলীন
ভাঙনের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে নারিশা এলাকার কিছু জায়গা৷ কোথাও কোথাও বিদ্যুতের লাইন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে৷